ডিফেন্স

রাশিয়া নাকি আমেরিকার বিধ্বংসী হর্নেট? সেনাবাহিনীর জন্য কি যুদ্ধবিমান আসতে পারে?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় নৌবাহিনীতে মিগ-২৯কে রয়েছে ৪০ এর অধিক।  যা দিয়ে সম্পূর্ন ভাবে দুটি যুদ্ধজাহাজ ভিক্রমাদিত্য এবং ভিক্রান্তকে আর্ম করা সম্ভব নয়। কম পক্ষে ৫০টি মিগ-২৯কে/কুব প্রয়োজন। আর সেই কারনে আগামীদিনে রাশিয়ার থেকে অতিরিক্ত ১৫টি মিগ-২৯কে/কুব ক্রয় করা হতে পারে। এক্ষেত্রে যেমন মেইন্ট্যন্সে সুবিধা হবে পাশাপাশি দামও কম মিগ-২৯কে ভার্সানের। তবে তার আগে সার্ভেবিলিটির বিষয়টি রুশের সাথে সমঝোতা করে নিতে হবে। ভারতের হাতে ৫৫ থেকে ৫৮টি মিগ-২৯কে/কুব থাকলে যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে নেভির জন্য TEDBF নির্মানের।

বর্তমানে ভারতের মিগ-২৯কে ছাড়া অন্য অপশান কম। ৫৭টি রাফাল বা হর্নেট কিনলে যা খরচ সামনে তা বেশ চিন্তার বিষয়। সেক্ষেত্রে আরেকটি বিষয়ও মাথায় রাখতে হবে। মিগ-২৯কে গুলির প্রধান বিভিআর যেন “ অস্ত্র ” হয়। নয়তো মিগ-২৯ আর মিগ-২১ এর পার্থক্য থাকবে না। আর অবশ্যই উত্তম এসা রেডার বর্তমান ঝুক-মি পেসা রেডারকে রিপ্লেস করলে চীনের যুদ্ধবিমান জে-১৫ কে ধ্বংস করা সম্ভব হবে।

যুদ্ধবিমানটি ১৯৮৮ সালে প্রথমবার আকাশে উড়তে দেখাগেলেও ২০১০ সালে সার্ভিসে আসে। ভারত এবং রাশিয়া এই মিগ ২৯ k ভার্সন টি ব্যবহার করে থাকে। খুব শীঘ্রই প্রায় ৮০ হবে এই বিমানের সংখ্যা।

 ৩৯ ফুট লম্বা এবং ১৪ ফুট উচ্চতার এই বিমানটির ডানা ৪৬০ বর্গফুট।

খালি অবস্থায় এর ওজন ১১০০০ কেজি এবং মোট ১৮৯৫০ কেজি ওজন বহনে সক্ষম। অর্থাৎ ৭৫০০ কেজি  অস্ত্র বহন করতে পারে বিমানটি।

ড্রপ ট্যাঙ্ক ছাড়া এটি ১৫০০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে উড়তে সক্ষম হাই অল্টিটিউডে। সর্বচ্চ প্রায় ৫৮০০০ ফুট উচ্চতায় উড্ডয়ন করতে সক্ষম যুদ্ধবিমানটি

যুদ্ধবিমানটি আকাশ থেকে আকাশে অ্যান্টি শিপ এবং অ্যান্টি রেডিয়েশান মিসাইল দিয়ে শত্রুপক্ষেক আক্রমণ করতে সক্ষম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *