ঘুষের জন্য কোম্পানি সহ পুরো দেশের নাম জড়িয়েছিল আমেরিকার
অ্যামেরিকার একাধিক ফাইটার জেট বিশ্বের দরবারে বেশ প্রশংসনীয়। ঠিক তেমনই ভাবে বেশ কিছু বাজে যুদ্ধবিমান তৈরি করার কারনে একাধিকবার তাদের নাক কাটা গেছে। বেশ কিছু বছর আগে এই এফ ১০৪। এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল এই বিমানের প্রস্তুতকারী কোম্পানি ছিল লকহিড মার্টিন। যারা একের পর এক বিশ্বজয়ী মার্কিন যুদ্ধবিমান বানিয়েছে।
এফ ২২ র্যাপ্টর থেকে শুরু করে এফ ৩৫ এর মতো বিমান পরবর্তীকালে তারা তৈরি করেছে। অথচ মজার ব্যাপার হলো এই এফ ১০৪ কেলেঙ্কারীর জন্য একটা সময় লকহিড পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছিল।
কেলেঙ্কারীটি ছিল মূলত ঘুষ নিয়ে। লকহিড বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ অফিসারদের ঘুষ দিত যাতে তাদের বিমান তারা কেনে। একাধিক রিপোর্টে একাধিক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট বেড়িয়ে এসেছে। দেখা গেছে তারা ইটালী সরকারকে ঘুষ দিছে কিন্তু সেই সরকার আর ক্রয় করতে পারেনি যুদ্ধবিমান। পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদেরও ঘুষ দিয়েছে তারাও কোন কারব বশত শেষ পর্যন্ত কিনতে পারেনি। আবার তৃতীয়বারের মতো আরেক সরকার ক্ষমতায় আসলে তাদেরকেও ঘুষ দিয়েছিল অ্যামেরিকার এই বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা। অর্থাৎ তারা তিনবার ঘুষ দিয়েছিল যাতে তাদের বিমান ক্রয় করে।
তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পশ্চিম জার্মানির কাছে। তাদের ঘুষ দিয়ে রাজি করানো হয় এই ফাইটার জেটটি(এই এফ ১০৪) কিনতে। কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন কারনে শুধুমাত্র শান্তিকালীন সময়ে জার্মানির ক্রয় করা অর্ধেক এই যুদ্ধবিমান ক্র্যাস করেছে।
মিডিয়ার সামনে এই ব্যাপারটি আসলে বিরাটভাবে তা সমালোচনা হয়। যার প্রভাব সম্প্রতিকালে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত জার্মানি নতুন অস্ত্র কিনলে মনে করা হয় যে তারা লকহিড এর কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছে।