গৌরীর বেশে মহামায়ার আগমন
দেবীপক্ষ পড়তে আর দেরী নেই। দেবী দূর্গাকে নিয়ে বাঙালী বরাবরই ভাবাবেগ প্রবন। কারোর কাছে তিনি মাতৃসমা, কারোর কাছে কন্যাসমা আবার কারোর কাছে প্রাণাধিক। সময় ও কালের প্রেক্ষিতে পুরাণের ধ্যান ধারণা, ঐশ্বরিক ও পারলৌকিক অভিজ্ঞতার বর্ণনা আমরা কমই শুনতে পাই। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতেও কিছু ব্যক্তি ঐশ্বরিক মাহাত্ম্যের সম্মুখীন হন এবং কিছু স্থান ঈশ্বরের মহিমাপূর্ণ। আমাদের পুরাণে মহামায়ার লীলার কথা অনেকেই জানেন। কখনো তিন গৌরী, কখনো সতী, কখনো দশভূজা হয়ে দুর্গতিনাশিনী। তারই বিভিন্ন রূপমাহাত্ম্য নিয়ে কর্মা প্রোডাকশনসের ইউটিউব চ্যানেলে খুব সম্প্রতি মুক্তি পেল ছোটো ছবি গৌরী।
গল্পে বিবেক একজন কলকাতা নিবাসী সাংবাদিক। সে প্রায়ই স্বপ্নে কাশবনে এক তন্বীকে দেখে ও জানতে ইচ্ছে হয় কে সেই মেয়ে। ঘটনাচক্রে তার খবরের কাগজের জন্য গ্রামের দুর্গাপূজো নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন লেখার নির্দেশ আসে বিবেকের কাছে। বন্ধু রজতের গ্রামের বাড়ির পুজোয় যাওয়ার সময় বিবেকের সাথে সত্যিই সেই মেয়েটির দেখা হয় ওই গ্রামেরই কাশবনে। ঠিক স্বপ্নের মত। মেয়েটি হঠাৎ কোথাও অদৃশ্য হয়ে যাওয়ায় সেই পথেই বিবেকের সাথে দেখা হয়ে যায় রজতদের বাড়ির পূর্বতন কুলোপুরোহিতের সাথে। তাঁর সাথে কথা বলে বিবেক জানতে পারে মেয়েটি ওনার একমাত্র ছেলের সন্তান, ওনার নাতনি গৌরী। সেই নাতনী সম্পর্কে বৃদ্ধ যা বলেন তাতে বিবেকের চূড়ান্ত অবাক হতে বাকি থাকে না। গল্পের চড়াই-উতরাই মনে করিয়ে দেয় আজও কোথাও সত্যিই মহামায়ার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে আছে।
ছবিটি দেখতে ক্লিক করুন
পরিচালনাঃ তানিশা মল্লিক ও চক্রবর্তী
অভিনয়ঃ তানিশা, চক্রবর্তী ও বোধিসত্ত্ব মজুমদার।
চিত্রগ্রহণঃ শান্তনু বেজ ও সঞ্জীব দাস
সম্পাদনাঃ শিবম সামন্ত
কন্ঠঃ স্বপ্নীল চক্রবর্তী
সঙ্গীত পরিচালনাঃ রাজদীপ দাস ও চক্রবর্তী