অ্যামেরিকা, ইটালি অনুত্তীর্ণ, ভারতের চিকিৎসকেরা পথ দেখাচ্ছেন করোনা ভাইরাসে
সুমিত, কলকাতাঃ সারা দেশ জুড়ে লক ডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২১ দিন থাকবে এই লক ডাউন। নিজেদের কে নিজেদের বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহন করার কথাও বলেছেন। নিজেদেরকে প্রাধান্য দিয়ে এই আইন মেনে চলা উচিৎ।
তবে কি করবেন আর কি করবেন না? বা কি করে বুঝবেন যে আপনার এই ভাইরাস আক্রমণ হয়েছে! এই নিয়ে বিস্তারিত জানালেন বেল্ভিউ ক্লিনিক্যাল হসপিটালের ডাক্তার সুদিপ্ত চন্দ।
তিনি জানান যে “প্রথম চারটি উপসর্গ হল অল্প খুস্খুসে কাশি, গলা খুশখুশ, কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, নাক দিয়ে জল পড়ার মতো একাধিক উপসর্গ দেখা যেতে পারে”। এরকম ক্ষেত্রে সরসারি চিকিৎসকের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। তবে সবচেয়ে অসুবিধার বিষয় হল এই যে প্রথম জিনিস গুলি প্রথম চার বা পাঁচ দিন না দেখাও যেতে পারে। বিশেষ করে হাই রিস্ক গ্রুপের মধ্যে যারা পরে তাদের সংস্পর্শে আসলেই একাধিক অসুবিধা। তবে হাই রিস্ক গ্রুপ কারা? তিনি জানান যে ” ল্যাবরেটরি তে রিপোর্টে এসেছে কভিড ১৯ আছে বা প্যারা মেডিক্যাল গ্রুপ, যারা বিদেশ থেকে এসেছে এবং তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন”।
সবচেয়ে অসুবিধার বিষয় হল এই যে এর মধ্যে যদি একাধিক মানুষের সংস্পর্শে আসে সেক্ষেত্রে প্রচুর মানুষ সংক্রামিত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ৬০ এর ওপর বয়েস, বা ধরুন অন্যান্য অসুখ আছে। প্রধানত রোগ প্রতিরোধক যাদের কম অর্থাৎ কিডনি ফেল হলে, লিভার ট্রান্সপারেন্ট, এইচ আই ভি থাকলে বা হার্টের অসুখ(ওপেন হার্ট সার্জারি) থাকলে তাদের চিন্তার বিষয়, কারন তাদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকে। সেক্ষেত্রে জ্বর অনেক বেশি হবে, নিউমোনিয়া তে আক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যেতে পারে।
ভাইরাল নিউমোনিয়া এইসব মানুষের বেশি হতে পারে, আর সেক্ষেত্রে অসুবিধা আরও বাড়তে পারে। সেই কারনে নিউমোকক্কাস বলে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশান হতে পারে। দিল্লি সরকার সেই কারনে বয়স্ক মানুষদের এর ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে।
সব থেকে বড় বিষয় হল এই যে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা ভালো থাকলে এই ভাইরাস এমনি এমনি ছেড়ে চলে যায় ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে। পাশাপাশি চীন নিজেদের কে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে চলে এসেছে, চীনের পর ভারতবর্ষ এক্ষেত্রে নিজেদের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। ভারতবর্ষের ডাক্তারদের ব্যবহার করা অসুধে বিশেষ ফল দিচ্ছে বলে জানান সুদিপ্ত বাবু। এইচ আই ভি এবং ম্যালেরিয়ার ওষুধ এক্ষেত্রে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।