অফবিট

নীল ছবিতে শুধু  মহিলারা নয়  পুরুষদেরও যথেষ্ট কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়

নিউজ ডেস্ক  –  যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছুই। এখন মুঠোবন্দী ফোনেই গোটা জগত দর্শন করা সম্ভব। ঠিক সেইভাবেই আনন্দ হোক কিংবা দুঃখ সমস্ত মনোরম দৃশ্য দেখা যায় ফোন কিংবা ল্যাপটপে। এই ডিজিটাল এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে পর্ন  আসক্তদের চাহিদাও। তাই এই ধরনের নীল ছবিগুলি বেশি মাত্রায় বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু কয়েক জন মানুষ  তথা  গোটা পৃথিবীকে সাময়িক আনন্দ দেওয়ার জন্য বহু কষ্ট করতে হয় পর্ন  সিনেমার নায়ক নায়িকাদের।  সেই কষ্ট একমাত্র তারাই ভোগ করেন অনেকে এই বিষয়ে জানেনও না। যারা মনে করেন এই লাইনে যাওয়া খুবই আনন্দদায়ক। কিন্তু একবার যেই গিয়েছে এবং কাজ করেছে সে বুঝতে পারবে এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে কতটা কষ্ট এবং যন্ত্রণা।  

পর্ন  তারকাদের লাইফস্টাইলের যেসকল বদল ঘটে সেগুলি হল – 

১) নীল ছবিতে শুধু  মহিলারা নয়  পুরুষদেরও  যথেষ্ট কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।  কারণ ঘন্টার পর ঘন্টা শর্ট ওকে না হওয়া পর্যন্ত তাদের সর্বশক্তি দিয়ে উত্তেজনা বজায় রাখতে হয়। 

২) এই শুটিং চলে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন। স্বাভাবিক তারকার যেমন মাঝে মধ্যে সপ্তাহে একদিন ছুটি নেয় এবং শুট করার মাঝে কিছু লাঞ্চ করে নেয় এদের ক্ষেত্রে সেটা হয়না।  অনেক সময় এক দিনে প্রচুর ভিডিও শুট করার হলে পর্ন  স্টারদের ফ্রেশ ওপিঠ থাকার জন্য তাদের খাবার এড়িয়ে চলতে হয় আবার অনেক সময় তারা ওষুধ খেয়ে থাকেন। 

৩) এই পেশায় জীবনের ঝুঁকি রয়েছে সর্বদাই।  কারণ  অনেক সময় স্টারদের এডস হলে সেটা যথেষ্ট মারাত্মক হয় কিন্তু সেটা যদি প্রথম স্টেজে ধরা পড়ে তাহলে সেই রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না হলে একবার হাতের বাইরে চলে গেলে আর কিছুই করার থাকেনা।  

৪) অফিসের কাজকর্ম যেমন মেডিকেল লিভ এপ্লিকেশন দিয়ে ছুটি নেওয়া যায় এক্ষেত্রে সেটা হয়না। শরীর খারাপ থাকে কিংবা মন মেজাজ পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে নীল  ছবির শুরুতে হয় পর্ন  তারকাদের। 

৫)  অসাধারণ সিনেমাগুলির ক্ষেত্রে যেমন আগে অডিশন দিতে হয় পর্ন  ফিল্মের জন্য আগে অডিশন দিতে হয় এক্ষেত্রে সর্বদাই নিউ কামারদের সঙ্গে তাদের পুরনো কাজের একটি সিডি রাখতে হয়।  এবার প্রডিউসার কিংবা ডিরেক্টররা যদি পছন্দ করেন তখনই তারা এই কাজের সুযোগ পায়। 

৬) অনেক সময় সাধারণ সিনেমায় আইটেম গানের জন্য নায়ক নায়িকারা  ডায়েট মেন্টেন করেন।  ঠিক সেইভাবেই নীল ছবির নায়িকার আউট এর আগে থেকে শুরু করে শুড শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন রকম খাবার খান না।  

৭) দীর্ঘ মাসের কষ্ট সহ্য করেই নীল ছবির শুট করার পর সাময়িক আনন্দ পেয়ে থাকেন সকল মানুষ।  

বর্তমান যুগের নীল ছবির প্রতি চাহিদায় একমাত্র ছবির নায়ক-নায়িকাকে কাজ করতে বাধ্য করে।  তবে অনেকক্ষণ তারকারা নিজের আত্মসম্মান ও লজ্জার জন্য করতে না চাইলেও বাধ্য হয়ে করতে হয় । কেউ এই লাইনের স্বেচ্ছায় আসে আবার কেউ আসে পেটের দায়ে।  আবার অনেকে কৌতুহলের বশবর্তী হয়ে চলে আসে এখানে। তবে প্রথম দিকে বিষয়টি ভালো লাগলেও পরবর্তীতে ক্রমশই পীড়া ও কষ্ট  দিতে থাকে এই নীল ছবির  স্টারদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *