কিডনির জটিলতা বাড়ে। ভিটামিন ডির ঘাটতির ফলে যে ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে
আমরা জানি যে ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে শুধুই হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। তবে দেখা গেছে যে শুধুমাত্র হাড়ের সমস্যায় নয়, আরো অনেক রোগের দেখা গেছে ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে।
ভিটামিন ‘ডি’ হল ক্যালসিয়ামের একটি অন্যতম উপাদান।তাই ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়।যার ফলে পেশি দুর্বল, হাড় ভঙ্গুর বা ক্ষয়ের মতো সমস্যা দেখা যায়।
ভিটামিন ‘ডি’ কাটা বা ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।তাই ভিটামিন ‘ডি’এর অভাবে কাটা বা ক্ষত শুকাতে বিলম্ব হয়।যার ফলে ইনফেকশন বেড়ে যায়।
ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।যেমন-সর্দি-কাশি, টনসিলের প্রদাহ, শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণের মতো রোগ বৃদ্ধি পায়।
শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ থাকার ফলে শরীরে এনার্জি আসে।তবে ভিটামিন ‘ডি’ এর ঘাটতি হলে বিষণ্নতা, ক্লান্তি ও অবসাদে ভোগে ফলে কাজেও অনীহা আসে।
বাত ব্যথা, বিশেষ করে ব্যাক পেইন বা পেছনের দিকে ব্যথা হয়।
ভিটামিন ‘ডি’ এর ঘাটতির ফলে যারা কিডনি রোগী তাদের জটিলতা বাড়ে।
ভিটামিন ‘ডি’ হল মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি একটি অন্যতম উপাদান।তাই ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাব হলে মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ।
ভিটামিন ‘ডি’ হল ক্যালসিয়ামের একটি অন্যতম উপাদান।তাই ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়।যার ফলে শরীরের হাড়ের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- শিশুদের ক্ষেত্রে শরীরের হাড়গুলো ঠিকমতো বৃদ্ধি পায় না।যার ফলে হাড় নরম বা ভঙ্গুর অথবা বেঁকে যায় (রিকেটস), বড়দের হাড়ের গঠনে বিকৃতি (অস্টিওম্যালেশিয়া) দেখা দেয়।
এমনকি ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবে গর্ভধারণে জটিলতা বাড়ে। তবে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরন করতে হলে বেশি করে ভিটামিন ডি যুক্ত খাদ্য খান।যেমন- কড, শার্ক বা হ্যালিবাড লিভার তৈল, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, মাখন, ডিম ইত্যাদি।