সন্ধ্যা হলেই প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যায়না। ভারতবর্ষের যে স্থান গুলিতে
নিউজ ডেস্ক – এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানকার রহস্য এখনো পর্যন্ত উদঘাটন করতে পারেনি বৈজ্ঞানিকরা। এই রহস্যপূর্ণ জায়গা গুলির মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দিরের উদাহরণ। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে সত্যি। এই প্রতিবেদনে বেশকিছু অমীমাংসিত জায়গার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
১) প্রথম রহস্যপূর্ণ স্থান হল রাশিয়ার ডায়েটলোভ পাস। বলা হয় শীতল যুদ্ধের সময় এখানে নিজেদের গোপন গবেষণাগার গড়ে তুলেছিলেন সোভিয়েতের মিলিটারিরা। সেই কারণে এখানে সাংবাদিক থেকে শুরু করে কোন সাধারন মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীরা এখানে যাতায়াত করতে পারতেন। তবে এই জায়গায় দেখা গেছে একাধিক রহস্য। বেশ কয়েক বছর আগে ইউরাল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা ইয়েকেটেরিন বার্গ শহর থেকে দূরে তুষারে আচ্ছন্ন পাহাড়ে হাইকিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু যারা রওনা দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে মাত্র একজন যুবক শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফিরে এসেছিলেন। না হলে আর কেউ আজ পর্যন্ত ফেরেননি। শুধুমাত্র তাদের ক্ষইষ্ণু দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু সেই মৃতদেহ দেখলেও শিহরিত হয়ে উঠবে যে কোন মানুষ। কারণ সেই যুবকদের মরদেহ গুলির কারোর দুটো চোখ ছিল না তো কারোর জিহ্বা ছিলো না। এমনকি একজন যুবকের শরীর থেকে রেডিয়েশনে অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
পরবর্তীতে অবশ্য স্থানীয় থানার পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী বলা হয়েছে ওখানে কিছু অশুভ শক্তির কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি মৃতদেহগুলি সৎকারের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা পোস্টার ও লিফলেট দিলে সেগুলো পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কেন এরকম করলো সেটি আজও রহস্য। এরপরে এই দেহ গুলির উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একাধিক গবেষণা চালিয়েছে বিজ্ঞানীরা। সে বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট অনুযায়ী কোন বিজ্ঞানীর মতে এটা ইউএফওর কাজ, আবার কেউ বলছেন সোভিয়েত মিলিটারির কোন গোপন কার্যকলাপ দেখে নেওয়ার জন্য যাওয়া না তাদের নিশংস ভাবে খুন করেছেন, এবং করোর দাবি স্থানীয় উপজাতিরা তাদের মেরে পূজো করেছিল। কিন্তু ঘটনার ৬০ বছর পরেও কে ঠিক কে ভুল এখনো সেটি মিমাংসা হয়নি।
২) Kodinhi, the twin-town:- কেরালার এই গ্রামের বিশেষত্ব হল এখানে অধিকাংশ শিশু যমজ। ২০০৮ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গ্রামের মোট বাসিন্দার সংখ্যা ২০০০। কিন্তু তাদের মধ্যে জমজ রয়েছে প্রায় ৪০০ জন। কিন্তু কি কারণে এখানকার অধিকাংশ মানুষ জমজ এই বিষয়ে এখনো কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বৈজ্ঞানিক।
৩) Kuldhara:- এখানে গোটা গ্রামটাকে ঘিরে রয়েছে রহস্য। কারণ যথেষ্ট ঘনবসতিপূর্ণ ছিল এই গ্রাম। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে রাতারাতি গ্রাম ছেড়ে দেয় সকল মানুষ। কী কারণে তারা গ্রাম ছেড়েছে সেটি এখনও অমীমাংসিত। শোনা যায় গ্রামছাড়ার আগে গ্রামবাসীরা সেখানে অভিশাপ দিয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে বর্তমানে যারা ওই গ্রামে থাকতে যায় তাদেরই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
৪) Bhangarh fort :- এই দুর্গকে ঘিরেও রয়েছে একাধিক ভূতুড়ে গল্প। যদিও অনেকেই বিশ্বাস করে না কিন্তু সরকারিভাবেই এখানে বলা রয়েছে সূর্যাস্তের পর এবং সূর্য উঠার আগে এখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। জঙ্গলে ঢোকার আগে যে সাইনবোর্ড থাকে সেখানেই বড় অক্ষরে সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে। কিন্তু কেন সেটি আজ পর্যন্ত রহস্য।
৫) রামসেতু :- রামায়ণে উল্লিখিত রাম সেতুর অস্তিত্ব বাস্তবে রয়েছে। যে পাথর দিয়ে সেতু নির্মিত করা হয়েছিল সেগুলির জলে ভাসমান। কিন্তু কিভাবে পাথর জলে ভাসতে পারে সেটি এখনো রহস্য গোটা দুনিয়ায়। যদিও এর পেছনে অলৌকিক উদাহরণ খাড়া করে কিছু ধর্ম পরায়ণ মানুষ।
৬) মন্দির :- মন্দির বরাবরই পবিত্র ও নির্ভয়ের স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কয়েকটি মন্দির রয়েছে যাকে ঘিরে দেখা দিয়েছে একাধিক রহস্য। যার মধ্যে একটি হলো কোনারকের সূর্য মন্দির।