অফবিট

স্বামী বিবেকনন্দ মহাপ্রয়ানের দিন কি কি খেয়েছিলেন?

নিউজ ডেস্কঃ স্বামী বিবেকানন্দ। আজকের যুব সমাজের আইকন বা এমন পুরুষ যাকে দেখে, যার কথা শুনে উদ্বুদ্ধ হন। আর বিবেকানন্দ যে বাকি মানুষ বা মুনি ঋষিদের মতো ছিলেন না তা অনেকবারই প্রমান পাওয়া গেছে।

১৯০২ সালের ৪ জুলাই মৃত্যু হয় তার।তিনি মারা গেলেও তার বানী আজ যেন এক একটা জ্বলন্ত উদাহরণ আজকের যুব সমাজের কাছে। বিবেকানন্দের মৃত্যু নিয়ে কোনও রহস্য না থাকলেও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধারণা আছে।

১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্র নাথ দত্ত বা স্বামী বিবেকানন্দ। ভারতীয় দর্শনের বেদান্ত শাখা এবং যোগচর্চার মাহাত্ম্য তিনিই প্রথম পাশ্চাত্য দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছিলেন। ১৯০০ শতকের শেষের দিকে সকলের সামনে হিন্দুধর্মের গুরুত্ব প্রকাশ করার চেষ্টা করেন তিনি। বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপনের কৃতিত্বও  দেওয়া হয় তাঁকে। স্বাধীনতার আগে ভারতে হিন্দুত্বের নবজাগরণ এবং জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন বিবেকানন্দ।

১৯০২ সালের ৪ জুলাই মহাপ্রয়ান হয় এই মহান আত্মার। তাঁর প্রয়াণের দিন তিনি অত্যন্ত সকালে ঘুম থেকে উঠে বেলুড় মঠের প্রার্থনা গৃহে তিন ঘণ্টা ধ্যান করেন। তারপর ছাত্রদের শুক্লা-যজুর্বেদ, সংস্কৃত ব্যকরণ ও দর্শনশাস্ত্র সম্পর্কে বলেন। পরে স্বামী প্রেমানন্দের সঙ্গে রামকৃষ্ণ মঠের ভবিষ্যত্‍ নিয়ে আলোচনা করেন বেশ কিছুক্ষন সময় ধরে। সেদিন বেলুড়ের ঘাটে জেলের নৌকো ভিড়েছিল। নৌকো ভর্তি গঙ্গার ইলিশ বিশেষ আগ্রহের সাথে ক্রয় করিয়েছিলেন বিবেকানন্দ। দুপুরে ইলিশের নানা পদ খেয়েছিলেন সকলের সাথে। সন্ধে ৭টা নাগাদ নিজের ঘরে চলে যান। এবং বলে গেছিলেন যে তাঁকে বিরক্ত না করে। ঘরে গিয়ে ধ্যানে বসেন তিনি। ধ্যান করতে করতেই রাত ৯টা ১০ মিনিটে মহাপ্রয়ান হয় বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *