অফবিট

নিজেদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা নেই। আইসল্যান্ডের অজানা কিছু তথ্য

নিউজ ডেস্ক: মাত্র ২ মাস ২৪ ঘণ্টা সূর্য দেখা যায়।পৃথিবীর কোথায় রয়েছে এমন দেশ জানেন? না ছেলেদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। আইসল্যান্ড ইউরোপে উত্তর আটলান্টিকে অবস্থিত একটি ছোট দেশ। আইসল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে কোন জঙ্গলের অস্তিত্ব নেই। আইসল্যান্ড পৃথিবীর শেষ জায়গা যেখানে মানুষ বসবাস শুরু করে। এখানে পশুপাখি কীটপতঙ্গ প্রায় নেই বললেই চলে।

আইসল্যান্ড দেশ সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত ও মজাদার অজানা তথ্য হলো:

1. আইসল্যান্ড দেশে বহু সংখ্যক ঝরনা রয়েছে এবং এই ঝর্ণায় স্নান করতে হলে আগে প্রত্যেক ব্যক্তিকে  উলঙ্গ হয়ে বাইরে  থেকেই স্নান করতে হবে। ব্যাপারটা অদ্ভুত হলেও এটি তারা নিজেদের দেহে হাইজিন এর জন্য করে থাকে।

2. আইসল্যান্ডে একটি সংগ্রহশালায় প্রায় দু’শোর বেশি স্তন্যপায়ী প্রাণীর লিঙ্গ সংরক্ষিত করা রয়েছে।

3.  আইসল্যান্ড একটি শান্তিপূর্ণ দেশ এখানে কোন সেনাবাহিনী, নেভি ও বায়ুসেনা দেখা যায় না ।

4. আইসল্যান্ড বাসিরা আজও বিশ্বাস করে যে সেখানে কিছু এলাকায় এক ধরনের বামন গোষ্ঠী বর্তমান যাদের কাছে জাদু শক্তি পাওয়া যায়  । তারা মনে করে যদি এদের কেউ বিরক্ত করে তাহলে তারা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শেষ করে দেয়।

5. জুন-জুলাই মাসে এখানে চব্বিশ ঘন্টা সূর্য দেখা যায়। আইসল্যান্ড বাসিরা এই সময়টার অপেক্ষায় থাকে কারণ তারা এই সময়ে খুব ভালো ভাবে গোল খেলতে পারে।

6. আইসল্যান্ডে পুরুষদের থেকে মহিলার সংখ্যা বেশি। যার জন্য এখানকার সরকার অনলাইন পর্নোগ্রাফির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

7. আইসল্যান্ডের স্কয়ার নামক এক ধরনের প্রোডাক্ট পাওয়া যায় এটি দেখতে অনেকটা দই মতো হলেও এটি মাখন দিয়ে বানানো হয়, যা অত্যন্ত সুস্বাদু ও প্রোটিন যুক্ত খাবার। স্কয়ার শুধুমাত্র আইসল্যান্ডে পাওয়া যায়।

8. আইসল্যান্ড মৎস্য শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এখানকার মাছ বহু দেশে রপ্তানি করা হয়।সা আইসল্যান্ড নিজেদের মৎস্যশিল্পের জন্য  একটি  বলয় তৈরি করেছিল যেখানে শুধুমাত্র আইসল্যান্ডের লোকই মাছ ধরতে পারবেন। কিন্তু এই বিষয়ে আমেরিকা রাজি না হওয়ায় 1958 সালে আইসল্যান্ড ও আমেরিকার মধ্যে একটি ঠান্ডা যুদ্ধ তৈরি হয়েছিল।

9. আইসল্যান্ড বিশ্বের এমন কিছু দেশগুলির মধ্যে একটি যেখানে যেকোন জায়গায় নগ্ন হওয়া খুব সাধারন ব্যাপার।

10. আইসল্যান্ডে বহু অগ্নেয়গিরি দেখা যায়।  যার থেকে প্রচুর পরিমাণের অগ্নুৎপাত হয়। এর  থেকে  নির্গত ম্যাগমা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা বহু ধরনের শক্তি উৎপাদন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *