কোষ্ঠকাঠিন্য দ্রুত দূর করতে যে ধরনের ফল খাবেন
নিজস্ব সংবাদদাতা: আপনি কি কোষ্ঠকাঠিন্যের মত কঠিন সমস্যায় ভুগছেন? সমাধান মিলছে না কিছু তেই?উপায় আছে।চলুন জেনে নেওয়া যাক কেনো হয় এই কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কি এর মুক্তির উপায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়?
পরিপাক তন্ত্রে খাবার ধীরগতিতে হজম হওয়ার কারণে সাধারনত এই সমস্যা বেশি হয়।যখন কোলন বা মলাশয় বেশি জল শোষণ করে, তখন কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দেখা দেয়। মলাশয়ের মাংসপেশি এ সময় অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।ফলে মল ত্যাগে সমস্যা তৈরি হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দ্রুত দূর করতে বেশ কিছু ফল উপকারি। যেমন-
পাকা কলা: পাকা কলা যে কোষ্ঠকাঠিন্য সহজে দূর করতে সক্ষম এই কথাটি অনেকেই জানেন।এবং এটি অনেক আগে থেকেই পরীক্ষিত। কলায় প্রচুর আঁশ থাকে যা এই সমস্যা সহজে দূর করতে পারে। কলার আঁশ শরীরের বৃহৎ অন্ত্র থেকে জল শোষণ করে যার ফলে মল নরম হয়।এছাড়া হজমের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে পাকা কলা।
আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় দুই ধরনেরই। দ্রবণীয় আঁশ পেকটিন হিসেবে পরিচিত। পেকটিন খাবার দ্রুত হজম করে এবং অপ্রয়োজনীয় অংশ মল হিসেবে বের করে দিতে সাহায্য করে।শুধু তাই নয় অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়া তৈরিতেও ভূমিকা রাখে আপেল।খোসাসহ আপেল খেলে বেশি আঁশ পাওয়া যায়,এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
কমলা লেবু: প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং আঁশ বহন করে কমলা। আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের তথ্য অনুযায়ী,কমলার কোষের ফাঁকে সাদা রজ্জুর মতো যে অংশ থাকে সেখানে আঁশ বেশি থাকে।
নাশপাতি: একটি মাঝারি আকারের নাশপাতিতে অংশ থাকে ৫.৫ গ্রাম যা প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট।এছাড়াও নাশপাতিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ ও সোরবিটোল যা সহজে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।একদিকে ফ্রুকটোজ বাওয়েল মুভমেন্ট ত্বরান্বিত করে এবং অন্যদিকে,সোরবিটোল মলাশয়ে পানি প্রবাহ ঠিক রাখে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দ্রুত কমে।
ডুমুর: ডুমুরেও আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। গবেষণায় দেখা গেছে ডুমুর পরিপাকতন্ত্র সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও অনেক আগে থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেকেই আলুবোখারা খেয়ে আসছে। এতেও প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় হজমে সহায়ক।কিউই ফল ও বেরি ফলের মতো কিছু বিদেশি ফলও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ সাহায্য করে।