অফবিট

মানুষকে সাপের বিষের প্রভাব থেকে বাঁচাতে ঘোড়ার সিরামকে কেন ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় জানেন?

কোনো একজন ব্যক্তির সাথে অপর একজন ব্যক্তির  সম্পর্ক খুবই ঝামেলার হয়ে থাকলে, আমরা অনেকেই এই কথাটি বলে থাকি যে সাপে নেউলে। কারণ এটা জানি যে নেউল অর্থাৎ বেজি এবং  সাপের  মধ্যে সম্পর্ক মোটেই বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। বেজি সাপকে  মারার ক্ষমতা রাখে। তবে আরও একটি প্রাণী আছে, যার ক্ষতি সাপ করতে পারে না।  সেই প্রাণীটি হল ঘোড়া। 

ঘোড়াকে সাপে ছোবল মাড়লে ঘোড়াটির কোনো ক্ষতি হয় না। হ্যাঁ, তবে বিষের প্রভাবে ঘোড়াটি এক থেকে দুই দিন দুর্বল থাকতে পারে। তার কারণ হল ঘোড়ার শরীরে তৈরি হয় বিষ প্রতিরোধক অ্যান্টি ভ্যানম। এটি সাপের বিষের কার্যকারিতা নষ্ট করে দিতে সক্ষম। মানুষকে যদি সাপে কামড়ায় তাহলে ঘোড়ার অ্যান্টি ভ্যানম দিয়ে তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়। ঘোড়ার অ্যান্টি ভ্যানম সিরামকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জন্য ভ্যাকসিন বানানোর জন্য রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানি। এই সমস্ত কোম্পানির মূল কাজ হল ঘোড়ার শরীরে সাপের বিষ প্রয়োগ করা এবং পরে ঘোড়ার শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টি ভ্যানম থেকে মানুষের জন্য ভ্যাকসিন বানানো। 

ঘোড়ার শরীরে সাপের বিষ প্রয়োগ করার দুই এক দিনের মধ্যেই  অ্যান্টি ভ্যানম তৈরি হতে শুরু করে। এরপর যারা ভ্যাকসিন তৈরি করে তারা ওই সমস্ত ঘোড়ার থেকে রক্ত সংগ্রহ করে এবং তারপর লোহিত রক্তকণিকা এবং শ্বেত রক্তকণিকা আলাদা করে শুধু সিরামটুকু নিয়ে নেয়। এই সিরাম পরে আরও প্রক্রিয়াজাত হয়ে অ্যান্টিডোট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *