রঙ খেলাকে কেন হোলি বলা হয় জানেন?
অরণ্যা সরকারঃ রঙ খেলার উৎসব দোলযাত্রা। রঙ, আবির, গুলালে জীবনকে রঙিন করে তোলার নতুন এক আহ্বান দেয় দোল।
দোল পূর্ণিমার দিন দোল উৎসব বা বসন্ত উৎসব পালিত হয়।প্রতি বছর বাঙালীরা এই দিনটিতে রঙ খেলার আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে ।এটি হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। এই দিনটিতে বাঙালিরা একে অপরকে রঙে রাঙিয়ে দেয় । দোল এবং হোলি দুটি আলাদা অর্থ হলেও দুটি একই জিনিস।হোলি কথাটি “হোলিকা” থেকে সৃষ্ট হয়েছে। হোলিকা ছিলেন রাক্ষস হিরণ্যকশিপুর বোন। আর হিরণ্যকশিপুরের ছেলে ছিলেন প্রহ্লাদ।প্রহ্লাদ অসুরবংশে জন্ম নিয়েও ছিল বিষ্ণুর ভক্ত। এর জন্য তার বাবা তার উপর রেগে ছিলেন। তাই তার বাবা তাকে হত্যা করার সিধান্ত নিয়েছিলেন। কোনভাবেই তাকে হত্যা করা না করতে পেরে তার বাবা তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার আদেশ দেন।হোলিকা রাক্ষসী বর পেয়েছিল যে আগুনে তার কোন ক্ষতি হবে না। তাই প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য হোলিকা প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দেয়।কিন্তু দেখা যায় প্রহ্লাদ বিষ্ণুর আশীর্বাদে বেঁচে যায় আর হোলিকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনা থেকেই হোলি বা দোল উৎসব পালন করা হয়। দোল উৎসবের প্রাণকেন্দ্র হল আবির। এই দিন সকাল সকাল সবাই রাস্তায় একে অপরকে আবির মাখাতে নেমে পরে। প্রথমে আবির ও পরে রঙ দিয়ে খেলা হয়।এই দিনটি মথুরা , নন্দগাঁও, বৃন্দাবনে ৪০ দিনের জন্য দোল উদযাপন করা হয়। মহাসমারহে সারা দেশ জুড়ে বসন্ত উৎসব পালিত হয়। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র একটি ধার্মিক উৎসব-এ সীমাবদ্ধ না থেকে একটি জাতীয় উৎসবে পরিনত হয়েছে।