ভোটের ইতিহাস

বামেদের হাত থেকে আড়াই দশকের ত্রিপুরার শাসনভার কিভাবে ছিনিয়েছিল বিজেপি

নিউজ ডেস্ক – ইতিমধ্যেই ডঙ্কা বেজে গিয়েছে ত্রিপুরায়। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা, আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ফের হাড্ডাহাড্ডি বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই। এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে কার পতাকা ত্রিপুরার আকাশে উড়বে সেটি দেখার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক পূর্বের অর্থাৎ ২০১৮ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনের চিত্রে।

গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ত্রিপুরা নির্বাচনে এক নজর দিলে দেখা যাবে যে সেখানে রীতিমত হাই ভোল্টেজ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আড়াই দশক ধরে শাসন করা বাম আমলের ধ্বজ নামিয়ে দিয়ে পদ্ম ফুলের পতাকা তুলতে সমর্থন হয়েছিলেন গেরুয়া শিবির। তবে রাজনৈতিক মহলের সদস্যদের অনুমানে বাইরে ছিল যে ত্রিপুরা শাসনের গুরুদায়িত্ব আসবে পদ্ম শিবিরের হাতে। তবে সেবারের নির্বাচনে যে আসনের রদবদল হতে চলেছে সেটা কিছু অংশে অনুমান করেছিল ত্রিপুরা বাসীরা।

সাধারণত বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় সদস্যদের প্রথম সারির নেতাদের প্রচারে নামতে দেখা যায়, অথচ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ত্রিপুরার বিজেপি পক্ষের তরফ থেকে প্রচারের নেমেছিলেন খোদ মোদি সরকার ও জেটলির মতো হেভিওয়েটেড কেন্দ্রীয় নেতারা।  শুধুমাত্র প্রচারের ঝড় তোলায় নয় তার পাশাপাশি চলেছিল দলের সমর্থনের জন্য একাধিক সামাজিক কর্মসূচিও। এক কথায় আসন পাওয়ার জেরে ত্রিপুরার মাটি কামড়ে পড়েছিল পদ্ম শিবির। এই অসীম ধৈর্য রাখার সাথে দ্রুতগতিতে প্রচার করার ফলস্বরূপই উত্তর পূর্বের নিস্তরঙ্গ রাজ্য ত্রিপুরায় যেখানে কোনদিন পদ্ম ফুলের কুড়ি পর্যন্ত ফোটেনি সেখানে লাল দুর্গকে ধুলিস্যাৎ করে পদ্মের বাগান তৈরি করেছিল গেরুয়া সমর্থকেরা।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় বামফ্রন্ট প্রথম ক্ষমতায় এসেছিল ১৯৭৭ সালে। ১৯৮৩তে পরের বিধানসভা ভোটেও জয়ী ছিল বাম। কিন্তু ১৯৮৮-র ভোটে হেরে যায় কংগ্রেস-টিইউজেএস জোটের কাছে। পরে ভোটে অর্থাৎ ১৯৯৩তে আবার বামফ্রন্ট। তার পর থেকে আরও চার বার টানা জয়ের রেকর্ড ছিল লালের। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *