লাইফস্টাইল

স্বাস্থের জন্য বিরাট ক্ষতিকর। টি ব্যাগের চা পান করলে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন

নিউজ ডেস্ক: সকালবেলা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ঘুম ভাঙ্গে বেশিরভাগ মানুষেরই।তাদের ক্ষেত্রে চা ছাড়া কাজে এনার্জি পাওয়া যায় না। কিন্তু এই এনার্জি বৃদ্ধি করার জন্য মানুষ নিজের অজান্তেই নিজের শরীরের বড় ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসছে। ভাবছেন তো যে চা খাওয়ার সাথে কিভাবে ক্ষতি ডেকে আনছেন আপনাদের শরীরের। তাহলে বলেই রাখি যে চা নয় ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসছে চায়ের কাপে থাকার টি ব্যাগ। তাই যারা চা খাওয়ার জন্য টি ব্যাগ ব্যবহার করছে তারা সতর্ক হন।কারন চায়ের কাপে থাকা টি-ব্যাগ থেকে বের হওয়া কয়েক কোটি প্লাস্টিক কণাও আপনার পেটে ঢুকছে চায়ের সঙ্গে।এই তথ্যটি একাধিক গবেষণা থেকে উঠে এসেছে। চলুন তাহলে জেনে নিন এই টি ব্যাগ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য গবেষকদের থেকে।

সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে টি ব্যাগের প্লাস্টিক কণা রয়েছে। গবেষকদের মতে, প্লাস্টিকের টি-ব্যাগ থেকে কাপে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক কণা নির্গত হয়। যা আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত ঢুকছে। এর নির্দিষ্ট কোনো প্রভাব না জানা গেলেও এটা নিশ্চিত বলা যায় যে এই কণা আমাদের শরীরে পক্ষে খুবই ক্ষতিকর।এমনকি কানাডার ওই গবেষক দল টি ব্যাগকে পরীক্ষা করার জন্য চারটি ভিন্ন ভিন্ন বাণিজ্যিক টি-ব্যাগ নিয়ে সেগুলিকে ফুটন্ত জলে রেখে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করেছেন। তারা এই পরীক্ষাটি বার বার করেও তারা  দেখেছেন যে একই ফলে  পেয়েছেন।

 এই পরীক্ষাটি থেকে তারা জানতে পেরেছেন যে, এক কাপ ফুটন্ত জলে একটি টি-ব্যাগ ১১ দশমিক ছয় বিলিয়ন প্লাস্টিক কণা (মাইক্রোপ্লাস্টিক) ছাড়ে।এছাড়াও তিন দশমিক এক বিলিয়ন অতিসূক্ষ্ম প্লাস্টিক (ন্যানো প্লাস্টিক) কণা ছাড়ে। গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ চলতি মাসে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি জার্নাল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত হয়েছিলো।দেখা গেছে যে বেশ কিছু চা বিক্রয়কারীরা কাগজের টি ব্যাগের বদলে প্লাস্টিকের টি ব্যাগগুলিতে চা বিক্রি করছেন।তাই এ বিষয়টি নিয়ে জনসাধারণকে সচেতন থাকার কথা বলছেন গবেষকরা।বিশ্বজুড়ে মানুষ অজান্তেই প্রচুর পরিমাণে টি ব্যাগ ব্যবহার করে চা পান করেন। এই জন্য গবেষকদের মতে, যখন দোকান থেকে কেউ টি ব্যাগ কিনবেন তার আগে অবশ্য  যাচাই করে নেবেন যে সেটি  প্লাস্টিকের তৈরি নাকি কাগজের তৈরি।আর টি ব্যাগটি যদি কাগজের তৈরি হয় তাহলেই সেটি কিনবেন। প্লাস্টিক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক তাই নিজের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য সচেতন হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *