ডিফেন্স

রাফালে যুদ্ধবিমানের বিশ্বরেকর্ড। রাফায়েলের  যুদ্ধাস্ত্র  হিসাবে কি কি রয়েছে?

রাজেশ রায়: এই মহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত থাকা সবচেয়ে ঘাতক যুদ্ধবিমান হচ্ছে ড্যাসল্ট রাফায়েল। ফ্রেঞ্চ ভাষায় রাফায়েল শব্দের অর্থ গাস্ট অফ উইন্ড বা দমকা হাওয়া। রাফায়েলের আরেক অর্থ ব্রাস্ট অফ ফায়ার বা আগুনের স্রোত। বাস্তবে এই মহূর্তে বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হচ্ছে ফ্রান্সের ড্যাসল্টের তৈরি রাফায়েলই।

ফ্রান্স রাফায়েল প্রজেক্ট শুরু করে ১৯৭০ এর মাঝামাঝি। সেইসময় ফ্রান্সের বায়ুসেনা ও নৌবাহিনী একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। ১৯৭৫ সালে ফ্রান্সের অ্যাভিয়েশন দপ্তর মিরাজ-২০০০ এর পাশাপাশি আরও একটি বিমান তৈরি শুরু করে। ১৯৮৩ সালে “ফিউচার ইউরোপীয়ান ফাইটার এয়ারক্রাফট” নামে একটি প্রজেক্ট শুরু হয় যাতে ইটালি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, পশ্চিম জার্মানি, স্পেন যুক্ত হয়। কিন্তু ১৯৮৪ সালে ফ্রান্স ও স্পেন এই প্রজেক্ট থেকে বেড়িয়ে যায়, ফ্রান্স নিজস্ব যুদ্ধবিমান প্রজেক্ট শুরু করে ১৯৮৫ সালে। স্পেন পরে জার্মানি, ইংল্যান্ড ও ইটালির সাথে প্রজেক্টে যুক্ত হয়, পরে এই প্রজেক্টে যে যুদ্ধবিমান তৈরি হয় তার নাম ইউরোফাইটার টাইফুন। ১৯৮৬ সালে রাফায়েলের প্রথম ফ্লাইট টেস্ট হয় এবং এটি ফ্রান্সের বায়ুসেনায় যুক্ত হয় ২০০১ সালে, লক্ষ্য করুন পনেরো বছর সময় লাগলো এই প্রসেসে। রাফায়েলের ডিজাইন করেছে মার্শাল ড্যাসল্ট। এখনও পর্যন্ত ২৩৭ টি রাফায়েল তৈরি করা হয়েছে। ফ্রান্স সহ কাতার ও ভারতের বায়ুসেনায় রাফায়েল সার্ভিসে রয়েছে।

রাফায়েল প্রথমে ফ্রান্সের নৌসেনায় যুক্ত হয় ২০০৪ সালে, ২০০৬ সালে সর্বপ্রথম ফ্রান্সের বায়ুসেনায় রাফায়েল যুক্ত হয়। রাফায়েল কে মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান বলা হলেও সাধারণত রাফায়েল একটি ওমনি রোল যুদ্ধবিমান। একটি আদর্শ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কারন রাফায়েল এয়ার সুপিউরিটি, এয়ার স্ট্রাইক, নেভাল অপারেশন, বোম্বিং, স্ট্রাটেজিক বোম্বিং, নিউক্লিয়ার অ্যাটাক, মিসাইল ফায়ারিং সবই করতে সক্ষম। রাফায়েল এইসমস্ত অপারেশন একদম নিখুঁত করতে পারে যার জন্য রাফায়েল কে ওমনি রোল যুদ্ধবিমান বলা হয়। রাফায়েলের একটি বিশ্বরেকর্ড আছে জানেন কী? রাফায়েলের খালি ওজন ১১ টন, কিন্তু রাফায়েল ১৬ টন পর্যন্ত অস্ত্র বহন করতে পারে, অর্থাৎ নিজের ওজনের প্রায় দেড়গুন অস্ত্র বহন করতে পারে রাফায়েল যা বিশ্বের অন্য কোন যুদ্ধবিমান পারে না। রাফায়েল তৈরি করতে যে ইলেকট্রিক তার ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো যদি সব খুলে সাজিয়ে রাখা হয় তার দৈর্ঘ্য দাড়ায় ২৫ কিলোমিটার। রাফায়েলে প্রায় ৩০০০ ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। তাহলেই ভাবুন একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করা কতটা জটিল। প্রথমের দিকে একটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান তৈরি করতে দুইবছর সময় লাগে এবং ৭০০০ লোক লাগে। এই রাফায়েল তৈরির আগে পুরো ডিজাইন একটি স্পেশাল সফটওয়্যার “ক্যাতিয়া”  এর মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ করা হয়েছিল। ড্যাসল্ট নিজেই এই সফটওয়্যার তৈরি করেছিল। রাফায়েলের তিনটি ভার্সন রয়েছে:–

* রাফায়েল বি- এটি দুই সিট বিশিষ্ট, মূলত এটি ট্রেনিং ভার্সন। এটি বায়ুসেনায় ব্যবহার করা হয়।

* রাফায়েল সি- এটি একটি বিশিষ্ট ভার্সন। 

* রাফায়েল এম- এটি রাফায়েলের নেভাল ভার্সন। এই ভার্সনে রাফায়েলের লেজে একটি অ্যারেস্টিং হুক লাগানো থাকে এবং এম ভার্সনের ল্যান্ডিং গিয়ার আরও মজবুত করা হয় যাতে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে এই বিমান নামতে পারে। মাত্র ৪০০ মিটার রানওয়ে থেকেই রাফায়েল টেকঅফ করতে পারে যার জন্য এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের জন্য রাফায়েল একদম পারফেক্ট। রাফায়েল সর্বনিম্ন ২১৩ কিমি/ঘন্টা গতিতে উড়তে পারে যারজন্য একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার থেকে সহজেই স্কী জাম্প করতে পারে।

রাফায়েলের  বিভিন্ন  টেকনোলজি  সম্পর্কে  জানা  যাক:—

* রেডার :– রাফায়েলে থ্যালসের আরবিই২ এসা রেডার ইনস্টল করা হয়েছে, যার শনাক্তকরন রেঞ্জ ২০০ কিমি। এটি ১০০ কিমি এরিয়ার মধ্যে একসাথে ৪০ টি টার্গেট কে শনাক্ত করতে সক্ষম। 

* ডাইরেক্ট ভয়েস ইনপুট সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে রাফায়েলে। যা রেডিও কমিউনিকেশন, কাউন্টার মেজার, সিলেকশন অফ আর্মামেন্টস, রেডার মোড, কন্ট্রোলিং নেভিগেশন সিস্টেম। অর্থাৎ পাইলট ভয়েসের মাধ্যমেই এগুলো কনট্রোল করতে পারে। 

* স্পেকট্রা:– রাফায়েলের সবচেয়ে ঘাতক, ডেডলি টেকনোলজি হচ্ছে এই স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুট, যা রাফায়েল কে তার সমগোত্রীয় যুদ্ধবিমানদের থেকে কয়েকগুন এগিয়ে রাখে। এটি সাধারনত একটি অ্যাক্টিভ স্টেলথ টেকনোলজি যা প্লাজমা জেনারেট করে। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলা যাক রেডার তার আশেপাশের শত্রু টার্গেট কে খোঁজার জন্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস ব্যবহার করে, এই পালস শত্রুর যুদ্ধবিমান, জাহাজে ধাক্কা খেয়ে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে, একইভাবেই রেডার কাজ করে। এই ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক পালস নন আয়োনাইজড। এবার ধরুন রাফায়েলকে শত্রুর রেডার শনাক্ত করে ফেলেছে তখন রাফায়েলের পাইলট অ্যাক্টিভ স্টেলথ টেকনোলজি অন করে দেয়, যার ফলে বিমানের উপর প্লাজমার একটা আস্তরন তৈরি হয়ে যায়। আর এই প্লাজমা হাইলি আয়োনাইজড যার জন্য রেডারের ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক পালস এই প্লাজমা তে ধাক্কা খেয়ে নিজের সব এনার্জি ছেড়ে দেয়। অর্থাৎ এই প্লাজমা সরাসরি রেডার ওয়েভ কে শুষে নেয়। যার জন্য কিছুক্ষণের জন্য বিমানের RCS বা রেডার ক্রশ সেকশন প্রায় শূন্য হয়ে যায়। শত্রুর রেডার রাফায়েল কে শনাক্ত করতেই পারে না। এই সুযোগে রাফায়েল টার্গেট হিট করে চলে আসে। ১৯৯৩ সাল থেকে ফ্রান্স এই টেকনোলজির উপরে কাজ করছে। ফ্রান্সের থ্যালস ও এমবিডিএ যৌথভাবে এই স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুট তৈরি করেছে।

রাফায়েলে ব্যবহার করা হয়েছে ২ টি স্নেকমা এম-৮৮ ফোর ই টার্বোফ্যান ইন্জিন। সর্বোচ্চ গতি ১.৮ ম্যাক বা ১৯১২ কিমি/ঘন্টা। কমব্যাট রেঞ্জ ১৮৫০ কিমি।

রাফায়েলের  যুদ্ধাস্ত্র  হিসাবে

রাফায়েলের বায়ুসেনা ভার্সনে ১৪ টি ও নেভাল ভার্সনে ১৩ টি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে যা ৯,৫০০ কেজি পর্যন্ত পেলোড বহন করতে সক্ষম।

* রাফায়েলে ১ টি ৩০ মিমি এম৭৯১ অটোক্যানন ব্যবহার করা হয়েছে। যা এক মিনিটে ৩০০০ ফায়ারিং করতে সক্ষম। 

এয়ার টু এয়ার মিসাইল হিসাবে রাফায়েলে রয়েছে :— 

* এমবিডিএ মিকা :– এর রেঞ্জ ৫০-৬০ কিমি। শর্ট রেঞ্জে, ডগ ফাইটের জন্য ঘাতক মিসাইল এটি।

* এমবিডিএ মিটিওর :– এই মহূর্তে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ মিসাইল হচ্ছে মিটিওর। এর রেঞ্জ ১৫০ কিমি।

* ম্যাজিক-২ :– একদম শর্ট রেঞ্জ মিসাইল হিসাবে রয়েছে ম্যাজিক -২ মিসাইল যার রেঞ্জ ১৫-২০ কিমি।

* এমবিডিএ অ্যাপাচি :– এর রেঞ্জ ১৪০ কিমি, এটি একটি অ্যান্টি রানওয়ে মিসাইল। মূলত যুদ্ধের সময় শত্রুর রানওয়ে ধ্বংস করতে এই মিসাইল ব্যবহার করা হয়।

* স্ক্যাল্প ইজি :– রাফায়েলের অন্যতম ভয়ঙ্কর মিসাইল হচ্ছে এই স্ক্যাল্প ইজি, এর রেঞ্জ ৫৬০+ কিমি। ব্রিটিনের ইউরো ফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমানেও এই মিসাইল ব্যবহার করা হয়, ব্রিটেন এর নাম দিয়েছে স্ট্রোমশ্যাডো। দুটি একই মিসাইল শুধু নাম আলাদা।

* হ্যামার – এর রেঞ্জ ৫০ কিমির মতন। এটি একটি প্রিশিসন গাইডেড মিউনেশন।

* এয়ার টু সারফেস মিসাইল হিসাবে রাফায়েল এক্সোয়েট অ্যান্টিশিপ মিসাইল ব্যবহার করে যার রেঞ্জ ৭০+ কিমি।

* তাছাড়া রাফায়েল জিবিইউ- ১২, জিবিইউ- ১৬, জিবিইউ- ৪৯, জিবিইউ- ২২, জিবিইউ- ২৪ লেজার গাইডেড বোম্ব বহন করতে পারে। 

* রাফায়েল পরমাণু যুদ্ধাস্ত্র বহন করতেও সক্ষম

রাফায়েল পৃথিবীর একমাত্র বিমান যে এইসমস্ত যুদ্ধাস্ত্র একসাথে বহন করতে সক্ষম।

রাফায়েলে একটি বিশেষ লেজাট টার্গেটিং পড রয়েছে যা গ্রাউন্ড অ্যাটাকে সময় বোম্ব কে নিখুঁত লক্ষ্য ভেদে গাইড করে।

* রাফায়েল ২০০০ লিটারের তিনটি ড্রপ ট্যাংক বহন করতে সক্ষম যারজন্য রাফায়েলের কমব্যাট রেঞ্জ বৃদ্ধি পায়।

* রাফায়েলে পুরো কম্পিউটার কনট্রোল ক্যানারড সিস্টেম রয়েছে যা বাতাসে রাফায়েলকে হাইলি ম্যানুভারিং এ সাহায্য করে। তাছাড়া এই ক্যানারড এয়ারব্রেকের কাজও করে। রাফায়েলের নেভাল ভার্সন যখন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে অবতরন করে তখন গতি কম করতে এই ক্যানারড সাহায্য করে।

* রাফায়েলে ফুল ডিজিটাল সিস্টেম রয়েছে এই সিস্টেম একবার ফ্লাইটের পর রাফায়েলের কোন পার্টে সমস্যা কোন পার্ট বদলাতে হবে তা নিজেই বলে দেয়। অর্থাৎ রাফায়েল নিজেই নিজের চিকিৎসা করতে সক্ষম। 

* রাফায়েলের ডিজাইন মডিউলার, যারজন্য রাফায়েলের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে মাত্র এক ঘন্টা সময় লাগে। একটা ফর্মুলা ওয়ান গাড়ির ইন্জিন পরিবর্তন করতে আরও বেশী সময় লাগে।

ইউরো ফাইটার টাইফুন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারে অবতরন করতে পারে না, টাইফুন এখনও ব্যাটেল প্রুভ নয়, অন্যদিকে রাফায়েল লিবিয়া ও সিরিয়া তে যুদ্ধ করেছে। টাইফুন রাফায়েলের মতন ওমনি রোল যুদ্ধবিমান না, যারজন্য রাফায়েল টাইফুনের থেকে এগিয়ে।

সম্প্রতি মিশর তাদের বায়ুসেনায় থাকা সুখোই-৩৫ ও রাফায়েল এর মধ্যে ওয়ার গেমের আয়োজন করেছিল যাতে রাফায়েলের স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম সুখোই-৩৫ এর এসা রেডারকে জ্যাম করে দেয়। রাফায়েল বিভিআর এর মাধ্যমে সুখোই-৩৫ কে টার্গেট লক করে দেয়। সুখোই-৩৫ রাফায়েল কে খুঁজে পর্যন্ত পায়নি। সুখোই-৩৫ এর থেকে আকারে ছোট হয়েও রাফায়েল সুখোই-৩৫ এর থেকে ১৫০০ কেজি বেশী অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। 

তবে রাফায়েল অত্যন্ত দামী বাকী সব যুদ্ধবিমানের তুলনায়। শুধু একটি রাফায়েলের দাম ৬৮ মিলিয়ন ডলার,  যেখানে সুখোই-৩৫ এর দাম ৪০ মিলিয়ন ডলার। যুদ্ধাস্ত্র সমেত একটি রাফায়েলের দাম মোটামুটি ১৮০ মিলিয়ন ডলার। রাফায়েলের সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হচ্ছে একটি রাফায়েলের  জীবনকাল  ৭৫ বছর  যা  বিশ্বের  অন্য  কোন  যুদ্ধবিমানের  নেই।

ভারত ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ৩৬ টি রাফায়েল অর্ডার দেয়। ভারত যে রাফায়েল অর্ডার করেছে এগুলো রাফায়েলের এফ ৩ আরআই ভার্সন। ভারতীয় রাফায়েলে ১৩ টি বিশেষ আপগ্রেডেশন করা হয়েছে। 

তবে বর্তমানে রাফায়েলের অ্যাডভান্সড ভার্সন এফ-৪ তৈরি হচ্ছে যা আরও আপগ্রেডেড হবে। সত্যি কথা বলতে কী এই ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে কখনো প্রকাশ করা হয় না, যতটা জানা যাচ্ছে সেই হিসাবে ব্যাখ্যা। রাফায়েল এফ-৪ কে বিশেষভাবে নেটওয়ার্ক সেন্ট্রিক ওয়ারফেয়ারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হচ্ছে।  

এফ-৪ ভার্সনে বিশেষ স্যাটেলাইট লিংক, কমিউনিকেশন সার্ভার ও সফটওয়্যার ডিফাইন রেডিও ইনস্টল করা হবে। রাফায়েলের সেন্সর আপগ্রেডেশন করা হবে। রাফায়েলে বর্তমানে থ্যালসের আরবি ই২ এসা রেডার ব্যবহার করা হয় যা গ্যালিয়াম আরসেনাইড বেসড। তবে এফ -৪ ভার্সনে গ্যালিয়াম নাইট্রেট বেসড রেডার ব্যবহার করা হবে। যার কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এফ-৪ ভার্সনে মিকা-এনজি মিসাইল ব্যবহার করা হবে৷ পরবর্তী প্রজন্মের এই মিকাকে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষকরে স্টেলথ টার্গেট কে ধ্বংস করার জন্য।  মিকা এনজিট রেঞ্জ পূর্বের ভার্সনের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুন হচ্ছে  ১০০ কিমি হবে। নেক্সট জেনারেশন হ্যমার ব্যবহার করা হবে যার ওজন ১০০০ কেজি হবে।  বর্তামানে রাফায়েলে যে হ্যামার ব্যবহার করা হয়েছে তার ওজন ২৫০ কেজি। 

২০২৪ সালে প্রথম রাফায়েল এফ-৪ তৈরি হবে। শোনা যাচ্ছে এরপর ভারত আরও বেশী রাফালে ক্রয় করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *