দুনিয়া জুড়ে চীনা পণ্য বয়কট হলে ড্রাগনের দেশে সত্যিই কি অর্থনীতির উপর কোন প্রভাব পরবে
নিউজ ডেস্ক – গোটা বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশগুলির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে চীন। প্রযুক্তিগত দিক থেকে হোক কিংবা অর্থনীতি, সার্বিকভাবেই উন্নয়নের শিখরে রয়েছে ড্রাগনের শহর। কিন্তু ভবিষ্যতে চীনের বিরোধিতা করে যদি কোনদিন অন্যান্য দেশগুলি চীনা পণ্য বয়কট করে তাহলে কি সত্যি ওই দেশের অর্থনীতির উপর কোন প্রভাব পড়বে! কারণ অর্থনীতির দিক থেকে চীন গোটা বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে। এছাড়াও এটা কেউ অমান্য করতে পারবে না যে চীনা পণ্যের মান ভালো কিংবা খারাপ তার মূল্য অত্যন্ত কম হয়। সে কারণেই চীনা পণ্যের আমদানি এবং রপ্তানিও বেশ ভালো। কিন্তু হঠাৎ করেই চীনা পণ্য বন্ধ করা কি সহজ!
গোটা বিশ্বে চীনা পণ্যের চাহিদা এবং আমদানি ও রপ্তানির উপর লক্ষ্য করে এটা হামেশাই বলা যায় যে হঠাৎ করেই চীনা পণ্য বন্ধ করা সহজ নয়। বিশেষ করে এশিয়া ,উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার এবং ভারতের পক্ষে একটু মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। কারণ এই দেশগুলো প্রত্যক্ষভাবে চীনা পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করে থাকে। বিশেষ করে জীবনদাই ওষুধের কাঁচামাল চীন থেকেই আমদানী করা হয়। ভারতের ক্ষেত্রে ৬৭ শতাংশ ওষুধের কাঁচামাল আমদানি করা হয়। সেই ক্ষেত্রে হঠাৎ করে চীনের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া দেশের অর্থনীতির উপর এক বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। তবে আগামী দিনে চীনা পণ্য বয়কট করতে হলে পশ্চিমীর দেশ গুলিকে সু-সঙ্গত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে ও জোট গঠন করতে হবে যাতে এরা চীনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে পারে। তাই পূর্বে চীনের প্রকল্প খুঁজে বের করতে হবে আমেরিকা এবং ভারতকে। তারপরে বয়কট করা সম্ভব হবে চীনা পণ্য।
