৮৩ বছর বয়সেও যেখানে জাপানের মানুষেরা নিজেদের কাজ নিজেরা করে থাকেন, সেখানে সিয়েরা লিওনের বাসিন্দাদের ৫৭ বছর হতেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে কেন তারা!
নিউজ ডেস্ক – কোন দেশের মানুষের গড় আয়ু কত দীর্ঘ হতে পারে তা নির্ভর করে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর। সুষম খাদ্য, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, মানসিক শান্তি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা। গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র জাপানেই প্রায় ৮৩ বছর পর্যন্ত মানুষের বয়স দীর্ঘ হতে পারে। দীর্ঘ আয়ুর রেকর্ড গড়ে গোটা দেশের মধ্যে প্রথম জায়গা দখল করেছে একমাত্র জাপান। সেই তুলনায় সিয়েরা লিওনের বাসিন্দাদের আয়ু খুবই সীমিত। যদিও এর পেছনে দেশ এবং স্বাস্থ্যের ঘাটতির মূল কারণ উল্লেখ্য।
জানা গিয়েছে, জাপানের মানুষেরা কোনদিন ডায়েট ফলো করেন না, কারণ তারা ভোরবেলা উঠে কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি তেল চর্বি বিহীন পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান গ্রহণ করেন। কিন্তু জাপানের সঙ্গে সিয়েরা লিওন দেশের তুলনা করলে দেখা যাবে সেখানকার বাসিন্দাদের অবস্থা খুবই অনুন্নত। এমনকি সেই দেশের অবস্থা খুব একটা উন্নত নয়। দুটি দেশের আর্থিক এবং ভৌগোলিক দিক পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে অর্থনীতির দিক থেকেই পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। সেখানে অন্যদিকে দশটি গরিব দেশের তালিকায় উপস্থিত আছে সিয়েরা লিওন দেশ। এমনকি জাপানের জনসংখ্যা ৪.৯৭১ ট্রিলিয়ন জিডিপি, অর্থাৎ বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ হলো জাপান। এবং সেখানকার জনগণের অর্থনৈতিক স্ট্যাটাস মাথাপিছু ৪৪,৩৮০ ডলার প্রায়। অন্যদিকে সিয়েরা লিওনের জনসংখ্যা ৪.০৮৫ বিলিয়ন ইউএসডি ও সেখানকার বাসিন্দাদের মাথাপিছু আয় ১৪৯০ ডলার। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যেখানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চালমা ডাল সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব একটা উন্নত নয়। সেই কারণেই এই দুটি দেশের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক রয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এবং দেশের অর্থনীতি দুর্বল হওয়ায় ও পর্যাপ্ত পরিমাণের খাদ্য গ্রহণের অভাবেই জাপানের থেকে সিয়েরা লিওন দেশের নাগরিকদের গড় আয়ু কম থাকে।