ডিফেন্স

চীনের ইতিহাসে অপমানের শতাব্দী। চীনের সাথে ঠিক কি করেছিল গোটা ইউরোপ?

রাজেশ রায়:— আজ বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী দেশ চীন। চীনের শক্তিশালী অর্থনীতি সম্পর্কে সবাই জানেন কিন্তু একটা কথা কী জানেন ১৮৩৯ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত প্রায় ১০০ বছরের এই সময় কাল কে চীনের ইতিহাসে অত্যন্ত অপমান জনক বলা হয়। বর্তমান চাইনিজ প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং অনেকবার তার ভাষনে এই প্রসঙ্গ তুলেছে। এই সময়ে চীনের সাথে ঠিক কী হয়েছিল?? কে এবং কার দ্বারা চীন অপমানিত হয়েছিল আজ সেই ব্যাপারেই বিস্তারিত আলোচনা করব। 

চীনের রাষ্ট্রপতি শী জিনপিং হংকং প্রসঙ্গে বা আমেরিকার সাথে বানিজ্য প্রসঙ্গে অনেকবার চীনের সাথে হওয়া এই অপমান জনক পরিস্থিতির কথা বলেছে। এই সময়কে চীনের অপমানের শতাব্দী বলা হয়। ১৮৩৯ থেকে ১৯৪৯ হিসাব মত ১১০ বছর হয় তবে একে শতাব্দীই বলা হয়। এই সময় পশ্চিমি দেশগুলো, রাশিয়া ও জাপান চীনের বানিজ্য ও বিদেশনীতির উপর পুরোপুরি নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেছিল। এসব কী করে হল? জানতে হলে একটু ইতিহাসে পিছিয়ে যেতে হবে। ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের আগে পর্যন্ত গোটা বিশ্বে চীন একটি যথেষ্ট শক্তিশালী দেশ ছিল। চীন সেসময় রাজতান্ত্রিক দেশ ছিল অর্থাৎ একটার পর একটা রাজবংশ বিভিন্ন সময়ে চীন শাসন করত। প্রায় ২০০০ বছর ধরে এভাবেই চলে। এসময় অনেক আবিষ্কার চীনই বিশ্বকে দিয়েছিল যেমন গান পাউডার, কাগজ। তবে ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই অর্থাৎ ১৭ শতক থেকেই ইউরোপ ভারত ও চীন কে ছাড়িয়ে অনেক এগিয়ে যায়। ১৭ শতকে কুইং রাজবংশ চীনের শাসনভার গ্রহন করে, এটাই ছিল চীনে শেষ কোন রাজবংশ। এরপরই ১৯১১ সালে ন্যাশনালিস্ট সরকার গঠন হয় চীনে। এই কুইং রাজবংশের সময়েই চীন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল কারন এর আগে যত রাজবংশ চীনে শাসন করেছিল তারা মূলত চীনের মধ্য ও দক্ষিণ ভাগে শাসন করত যেখানে হান প্রজাতির লোকেরা থাকত। জিনজিয়াং, তিব্বত, মান্চুরিয়া এসব প্রদেশ গুলোয় কখনও চীনের অধিকার থাকত কখনও না। একমাত্র কুইং রাজবংশের সময়ে পুরো চীন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। যদি গোটা চীনের ম্যাপ দেখেন দেখবেন চীনের উত্তরে রয়েছে বেজিং, তিয়ানজিং এর মত বড় শহর, মধ্যভাগে ইয়াং সিকিয়াং নদীর তীরে রয়েছে নানজিং, উহান, সাংহাই এবং দক্ষিনে রয়েছে হংকং, গোয়াংঝুর মতন শহর। আঠারো শতক আসতে আসতে ইউরোপের শক্তিগুলো গোটা বিশ্বে তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার করতে শুরু করে। বিশেষ করে ভারত ব্রিটিশদের অধীনে আসে। কিন্তু চীনের সাথে তখনও তেমন পরিচয় ছিল না ইউরোপীয়ানদের। ১৭৯২ সালে ব্রিটেনের রাজ জর্জ ৩ এর কথায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পুরো জাহাজ ভর্তি উপহার নিয়ে চীনের কুইং রাজবংশের শাসকের সাথে দেখা করে। চীন সেসময় ব্রিটেনকে জানায় তাদের দেশ স্বর্গীয়, এই পৃথিবীতে এমন কিছু নেই যা চীনে পাওয়া যায় না। চীনের সিল্কের কদর গোটা ইউরোপ জুড়ে রয়েছে। তাদের কারও সাহায্যের দরকার নেই। ১৭৫৭ সালে চীন একটি সিস্টেম তৈরি করে যাতে চীনের গুয়াংজু শহরেই কেবলমাত্র বিদেশী দেশ গুলো এসে ব্যবসা করতে পারবে। এই গুয়াংজু শহরকে ব্রিটিশরা ক্যান্টন বলত। এই শহরে আবার নির্দিষ্ট কিছু পরিবার ছিল যাদের কোহাং বলা হত, একমাত্র তাদের সাথেই বানিজ্যের অনুমতি ছিল বিদেশিদের। এই কোহং রাজার সাথে যোগাযোগ করত ব্রিটিশরা। কিন্তু এতে ব্রিটিশরা খুশি ছিলনা কারন শুধুমাত্র একটা শহরে বানিজ্য করে তেমন লাভ হচ্ছিল না ব্রিটিশদের। চীন থেকে সেসময় চা আমদানি করা হত, ইউরোপীয়ান দেশ গুলো চায়ের ভক্ত হয়ে উঠেছিল। এখানে একটা কথা বলে রাখি চা কিন্তু চীন থেকেই বিশ্বে ছড়িয়েছে, ভারত থেকে নয়। যখন চীনের সাথে ঝামেলা শুরু হয় তখনই ব্রিটিশরা ভারতে চা চাষ শুরু করে। এবার সমস্যা দেখা গেল চা চীন থেকে কেনা হবে কি দিয়ে। কারন চীন বাইরের দেশ থেকে কিছু কিনত না। ব্রিটেন সেসময় স্বর্নমুদ্রা ব্যবহার করত কিন্তু চীনের দাবি ছিল লেনদেন হবে রুপোর মাধ্যমে সুতরাং ব্রিটেন স্পেন থেকে রুপো কিনে তার মধ্যমে লেনদেন করত। এতে লোকসান হতে শুরু করে ব্রিটিশদের। ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি পরিকল্পনা করল তারা ভারত থেকে আফিম চীনে রপ্তানি করতে শুরু করল। চীনাবাসি আফিমের নেশায় এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যে সেখানকার সরকার বহুবার আফিম নিষিদ্ধ ঘোষনা করে কিন্তু তাও গোপনে আফিম ভারত থেকে চীনে বেচত ব্রিটিশরা। ১৮০০ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় এক কোটি চীনা নাগরিক সেসময় আফিমের নেশায় পড়েছিল। সে-সময় চীনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ কোটি। সুতরাং ১ কোটি সংখ্যাটা যথেষ্ট। সেসময় চীন বাসি এতটাই আফিমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে যে চীনের রাজা রীতিমতো আইন করে সমস্ত আফিম ধ্বংস করে দেয়। যাতে ব্রিটেন ক্ষুব্ধ হয় এবং ব্রিটিশ নেভি চীন আক্রমণ করে। সেইসময় ব্রিটিশ নেভি ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী। ব্রিটেনের কাছে সেসময় বিশ্বের প্রথম ধাতুর জাহাজ ছিল। ব্রিটিশ নেভির সামনে চীনের নেভি রীতিমতো ধ্বংস হয়ে যায়। ক্যান্টন শহর থেকে শুরু করে চীনের উপকূল বরাবর বেজিং পর্যন্ত সমস্ত বড় শহর ব্রিটিশদের সামনে পরাজিত হয়। ১৮৩৮ -৪২ সাল পর্যন্ত চীন ও ব্রিটেন মধ্যে হওয়া এই যুদ্ধকে প্রথম আফিম যুদ্ধ বলে। 

চীন সর্বক্ষন স্থলভাগেই লড়াই করেছে যার জন্য তাদের নেভি বলতে তেমন কিছুই ছিল না, এমনকী চীনের বন্দর গুলোও অসম্পূর্ণ ছিল। যার জন্য ব্রিটিশ নেভির কাছে সহজেই হেরে যায় তারা। ১৮৪২ সালে যুদ্ধ শেষে চীনের সাথে ব্রিটেনের একটি চুক্তি হয় যাকে ট্রটি অফ ন্যানকিং বলা হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী চীনের হংকং দ্বীপ ব্রিটিশদের দেওয়া হয়,ক্যান্টন ছাড়াও সাংহাই সহ আরও পাচটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে ব্রিটিশদের আফিম ব্যাবসার অনুমতি দেওয়া হয়, কোহমদের অস্তিত্ব নষ্ট করে দেওয়া হয় এবং চীনকে ২১ মিলিয়ন রুপোর মুদ্রা যুদ্ধের ক্ষতিপুরন দিতে হয়। তবে প্রথম আফিম যুদ্ধ তো শুধু মাত্র একটা ভবিষ্যতের বড় যুদ্ধের সূচনা মাত্র ছিল। এরপর ৬০ বছর ধরে চীন অনেক যুদ্ধ করে যাতে তাদের পরাজয় ঘটে। ১৮৫৬-৬০ এর মধ্যে চীন, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ হয় যার কারন ছিল চীন একটি আফিম জাহাজকে আটকেছিল। এতেও চীনের পরাজয় হয় এবং ব্রিটিশ সেনা বেজিং এ চীনের রাজার গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ দখল করে তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। ১৮৮৪ সালে চীন ও ফ্রান্সের যুদ্ধ হয় যাতে চীন আবার পরাজিত হয়। ১৮৯৪ সালে চীন- জাপান যুদ্ধ হয় এতেও চীন পরাস্ত হয়। এই যুদ্ধ গুলোর পর চীনের সাথে প্রচুর সন্ধি করা হয় যাতে চীনের বড় বড় বন্দর গুলো ব্যাবসার জন্য উন্মুক্ত করা হয়, চীনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে অনেক অর্থ নেওয়া হয়। ঐতিহাসিক ভাবে চীন একটি ক্লোজড দেশ ছিল যাতে বিদেশিদের প্রবেশাধিকার দীর্ঘদিন দেওয়া হয় নি তবে আঠারো শতক থেকে সব বদলে যায়। অবস্থা এমন হয় যে ইউরোপের দেশ গুলো চীনের সমুদ্রে তাদের নেভি নিয়ে উপস্থিত হত এবং বাধ্য হয়ে চীন সন্ধি করত। রাশিয়া,  জাপান, ফ্রান্স, ব্রিটেন, নরওয়ে, সুইডেন, আমেরিকা, পর্তুগাল এভাবেই চীনের সাথে সন্ধি করে। চীন বাধ্য হয় তাদের এলাকা লিজে দিতে যেমন হংকং ব্রিটনকে, জানজিয়াং ফ্রান্সকে, তাইওয়ান ও ডালিয়ান জাপানকে, জিয়াওঝু জার্মানিকে, মান্চুরিয়া রাশিয়াকে ও ম্যাকাও পর্তুগালকে। এভাবে গোটা চীনের বড় বড় জায়গা গুলো ইউরোপীয়ানরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। চীনের সরকারের হাত থেকে বিদেশ নীতি ও ব্যাবসা পুরোপুরি বেড়িয়ে যায়। চীনের মান্চুরিয়া শহরের আগে রাশিয়ান ও চাইনিজ সাম্রাজ্যের সীমানা ছিল। কিন্তু রাশিয়া ধীরে ধীরে মান্চুরিয়ার উপরভাগ ও সমুদ্র বন্দর দখল করে নেয়। এই জায়গা এখনও রাশিয়ার অধীনেই আছে। রাশিয়ার বিখ্যাত ভ্লাদিবস্তক বন্দর এই মান্চুরিয়ারই যা আগে চীনের ছিল। তবে ইউরোপীয়ান শক্তি গুলোকে ছাড়াও চীনের কুইং রাজবংশের সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ। কুইং এর সময়ে সবচেয়ে বড় যে বিদ্রোহ হয়েছিল তার নাম তাইপিং বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহ যে শুরু করেছিল সে নিজেকে যীশুখ্রিষ্টের ভাই হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল যার জন্য সমস্ত খ্রীষ্টান একদিকে হয়ে গিয়ে যুদ্ধ করেছিল। শেষ পর্যন্ত কুইং শাসক এই বিদ্রোহ থামায়। বলা হয় এই বিদ্রোহে প্রায় দুই কোটি লোকের মৃত্যু হয়েছিল, আবার কোথাও কোথাও হিসাব অনুযায়ী পাঁচ কোটিও বলা হয়। ভাবুন ৩০ কোটি লোকের মধ্যে এত বিশাল সংখ্যার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল তাহলে কত নৃশংস বিদ্রোহ ছিল এটা।

উনিশ শতক শুরু হতে হতে চীন পুরো বিদেশী শাসকদের অধীনে চলে এসেছিল। চীনে রাজবংশ ছিল কিন্তু সে বিদেশী শাসকদের হাতের পুতুল ছিল। এই সময় চীনাদের মনে হতে থাকে এবার সময় এসেছে বিদেশী শক্তিদের পরাস্ত করার। যার জন্য শুরু হয় বক্সার রিবেলিয়ন। উত্তর চীনের গ্রামে অনেক মানুষ মার্শাল আর্ট ট্রেনিং নিত যাদের বক্সার বল হত। অনেকটা আমাদের উত্তর প্রদেশের গ্রামে গ্রামে হওয়া কুস্তির আখাড়ার মতন। এই বক্সাররা বিদ্রোহ শুরু করে ১৮৯৯ সালে যা ১৯০১ সালে সমাপ্ত হয়। এই বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল বিদেশী শাসকদের দূর করা, খ্রীষ্টান মিশনারিদের বের করে দেওয়া এবং কুইং রাজবংশকে পুনরায় পূর্ণক্ষমতায় ফিরিয়ে আনা। বক্সার বিদ্রোহীরা বেজিং পর্যন্ত পৌছে সেখানের রাজমহল ঘীরে ফেলে বিদেশীদের ৫৫ দিন আটকে রেখে। তখন আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান, ইটালি, অস্ট্রিয়া- হাঙ্গেরি ও জার্মানি এই আটটি দেশ তাদের মিলিত সেনা পাঠিয়ে এই বিদ্রোহ বন্ধ করে এবং তাদের লোকেদের মুক্ত করে। এই মিলিত বাহিনী চীনের রাজার প্রাসাদ ফরবিডেন সিটি অবধি গিয়ে পৌঁছায়। একে ফরবিডেন সিটি বলা হত কারন এখানে বাইরের লোকেদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। বক্সার বিদ্রোহের পর ইউরোপীয়ান দেশ গুলো বেজিং এ সর্বদা সেনা রাখার ঘোষনা করে এবং চীনকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের রূপোর মুদ্রা ক্ষতিপূরন দিতে বাধ্য করে। যা বর্তমান হিসাবে দাঁড়ায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার। প্রায় ৩০ বছর ধরে ১৯৩০ অবধি চীন এই ক্ষতিপূরণ দেয়। বক্সার বিদ্রোহের পর ইউরোপীয়ানরা বুঝতে পারে বারবার সেনাবাহিনী দিয়ে চীনকে কন্ট্রোল করা সম্ভব নয় সেজন্য তারা চীনে বানিজ্যের ব্যাপারে মন দেয়। কিন্তু জাপান এই এলাকায় নিজেদের প্রভাব বাড়াতে শুরু করে। ১৯১১ সালে চীনে কুইং রাজবংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হয় এবং চীনে রাজতন্ত্র শেষ করা হয় এবং সুন ইয়াত সেনের কুমেংতাং দল ক্ষমতায় আসে। সেই সময়ই প্রথম চীন সরকার তাদের জনগনকে এই অপমানের শতাব্দী সম্পর্কে জানায় এবং মানুষ ইউরোপীয়ানদের বিরুদ্ধে কঘা বলতে শুরু করে। যার ফলে বাধ্য হয়ে ১৯৩০ সালে ইউরোপীয়ান দেশ গুলো চীনের সাথে হওয়া সমস্ত অন্যায় সন্ধি বাতিল করে দেয়। কিন্তু ১৯৩১ সালে আবারও জাপান চীনের মান্চুরিয়া আক্রমন করে দখল করে নেয়। ১৯৩৭ সালে উত্তর চীনে আক্রমণ করে জাপান এবং ন্যানকিং ম্যাসাকারের মতন ঘটনা ঘটে যেখানে অগুনতি চাইনিজ মহিলা কে জাপানি সেনারা ধর্ষন করে। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মাও জেদং এর নেতৃত্বে কমিউনিস্ট দল চীনের দখল করে এবং পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার জন্ম হয়।

এবার সংক্ষেপে জানা যাক এই অপমানের শতাব্দীর কারন কী ছিল:–

১) শিল্প বিপ্লব না হওয়ায়, গোটা ইউরোপ জুড়ে যখন শিল্প বিপ্লব হচ্ছিল তখন চীন পিছিয়ে ছিল।

২) চীন নিজেদের সংস্কৃতি, শাসনের মধ্যেই দীর্ঘদিন আবদ্ধ ছিল।

৩) চীন নিজেদের আবদ্ধ করে রাখা শুরু করে। ১৬ শতকে মিং রাজত্বের সময়ে চীন সিদ্ধান্ত নেয় তারা বাইরে জাহাজ পাঠাবেই না যাদের দরকার তাদের কাছে আসবে।

৪) দীর্ঘদিন ধরে অদক্ষ শাসকরা চীনে শাসন করেছে।

৫) শক্তিশালী নৌবাহিনী না থাকা। চীনের তৎকালীন সেনাবাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল কিন্তু নৌবাহিনী যথেষ্ট দুর্বল ছিল ইউরোপীয়ান দের তুলনায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *