ডিফেন্স

যুদ্ধপ্রস্তুতির বার্তা আমেরিকার। ইউক্রেন সীমান্তে ৯০ হাজারের উপর সেনা মোতায়েন

নিউজ ডেস্ক  – সম্প্রতি ইউক্রেনের উপর অতর্কিত হামলার পরিকল্পনায় মত্ত রাশিয়া সরকার। তবে ইউক্রেনকে সম্পূর্ণরূপে আগলে রাখতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ডঙ্কা বাজাতে পিছপা হবেন না এমনটাই ঘোষণা করলেন আমেরিকা। বর্তমানে এই সকল ধুন্ধুমার পরিস্থিতির মধ্যে রীতিমতো সরগরম হয়ে রয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার পরিবেশ।  

কিছু দিন আগে একটি সংবাদ মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ জানান, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে এবং ক্রিমিয়ায় রুশ সেনার সংখ্যা আনুমানিক বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪,৩০০। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে রাশিয়া বড় পরিসরের সেনা মোতায়েন করতে চলেছে নতুন বছরের প্রথম মাসেই। অর্থাৎ আগামী বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে চলেছে। যদিও ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য রীতিমতো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে আমেরিকার হোয়াইট হাউস।  

অন্যদিকে আবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি জানান,  রাশিয়া-ইউক্রেনর  বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলে জো বাইডেনের প্রশাসনও  হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।  প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ করার জন্য যে সকল এলাকাকে বেছে নিয়েছে সেগুলোকে সম্পূর্ণরূপে প্রশাসনের ঘেরাটোপের মধ্যে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।  অর্থাৎ রাশিয়া হামলা করলে চুপ করে বসে থাকবেনা আমেরিকাও।  ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার মতো জবাব পেতে হবে রাশিয়াকে। 

প্রসঙ্গত,  ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা নতুন কোন ঘটনা নয় । ইউক্রেনের পশ্চিম মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে পূর্বেই। সুতরাং ২০১৪ সাল থেকেই রাশিয়াকে ক্রিমিয়া সংযুক্ত করতে সহায়তা করেছিল ইউক্রেন। যদিও বরাবরই সেই সাহায্যের মূল্য দিতে অস্বীকার করে রাশিয়া।  সেই কারণেই সম্প্রতি দেশের উপর হামলা এড়াতে  রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য  ন্যাটোর কাছে আহ্বান জানায় ইউক্রেন। যদিও ইউক্রেনীয় সীমান্তে রাশিয়ার যে সামরিক বাহিনী গঠন করা হয়েছে তার প্রতিক্রিয়া এবং স্নায়ু  যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রীতিমতো তৎপরতার সহিত   আগেভাগেই বৈঠক শুরু করছেন লাৎিভয়ান রাজধানীর রিগায়  ন্যাটোর  পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *