ডিফেন্স

দু’বছরের মধ্যেই যে অত্যাধুনিক মেশিন বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে ইসরো

নিউজ ডেস্ক – ভারতের নিজস্ব মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র হচ্ছে ইসরো। মূলত একাধিক মহাকাশ বিষয়ে বহু তথ্যাদি দিতে সফল হয়েছে এই গবেষণা কেন্দ্র। বর্তমানে মহাকাশের বিষয়ে আরো বিশদে জানতে ২০২৩ সালের মধ্যে গগনযান নিশান লঞ্চ করতে চলেছে ইসরো এমনটাই সুখবর দিলেন দেশবাসীকে। 

ইসরোর তরফ থেকে জানা গিয়েছে,  আগতদের দু’বছর ধরে যে মহামারী তথা আকাল লেগেছিল দেশে বর্তমানে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারায় পুনরায় গবেষণা শুরু করা সম্ভব হয়েছে ইসরোর গবেষকদের পক্ষে। আর সেই কারণেই নতুন বছরের ট্রায়াল’ দেওয়ার পর ২০২৩ সালে গগনযান লঞ্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা।  তবে লঞ্চ করার আগের তা রীতিমতো পর্যবেক্ষণ করে নেওয়া হবে।

গগনযানে প্রথমে নভশ্চর পাঠানোর আগে নন ক্রু ভার্শন পাঠাবে ইসরো। তবে শুধুমাত্র গগনযান নয় এবার রীতিমতো দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে ইসরোর। কারণ বর্তমানে বৈজ্ঞানিক বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রি।  যেটি দেশে ছোট ছোট এসপেস এক্স এর মত প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ভারত।  আর সেই ক্ষেত্রে চাপ বেড়েছে ইসরোর। 

সূত্রানুসারে গোটা বিশ্বের মধ্যে স্পেস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যালু বর্তমান বাজারে $ ৪১৭ বিলিয়ন। যার মাত্র 2 শতাংশ শেয়ার রয়েছে ভারতের।  কিন্তু আগামী কয়েক বছর পর অর্থাৎ ২০৩০ সালে বিশ্বের এসপ্রেস ইন্ডাস্ট্রির  শেয়ার ভ্যালু হবে  আনুমানিক ভিত্তিতে প্রায় $ ১.৪ ট্রিলিয়ন।  অর্থাৎ ভারতের টার্গেট বর্তমানে ১০  শতাংশ শেয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার।  মূলত বিজ্ঞানীদের মতে গগন জানের পরে স্পেস স্টেশন তৈরি হলে ক্রু মেম্বারদের জন্য  রকেট উৎক্ষেপণ করা কোন ব্যাপারই নয়।  তবে একদিকে যেমন গগনযান তৈরি করা হচ্ছে অন্যদিকে রকেট উৎক্ষেপণ করার  বিষয়টি একবারে লক্ষ্য করা ইসরোর পক্ষে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। যার কারণে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রি চালু করে ইসরোকে শক্তি সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি এর সঙ্গে ১৮ মিটারের এক্স-ব্যান্ডঃ টেলিমেট্রি কম্যন্ডের  অ্যান্টেনা কমিশন করল কেন্দ্র।  অর্থাৎ এই প্রথম হাইড্রেটের এন্টেনা কমিশন গঠন করা হলো ভারতে। 

প্রাথমিক দিকে ভারত শুধু এক্স-ব্যান্ডঃ ব্যবহার করত ডাটা ডাউনলোডিংয়ের জন্য। কিন্তু এই পদ্ধতিতে ডাটা ট্রান্সফারের  রেট মূলত কম। যেখানে এস ব্যান্ড ২-৪ গিগাহার্টজের ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করে সেখানে এক্স-ব্যান্ডঃ ৮ থেকে ১২ গিগাহার্জে কাজ করতে পারে। তবে শুধুমাত্র ইদ্র নয় পাশাপাশি অধিকাংশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি বর্তমানে এস ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সির জন্য ৫-জি ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে ইসরো বহু সাবধানতা অবলম্বন করে স্যাটেলাইট বা স্পেসক্রাফট কে সিগনাল পাঠাতে পারে গ্রাউন্ড থেকে।  মূলত যে এন্টিনার মাধ্যমে কাজ করে থাকে সেটি সম্পূর্ণ ভারতীয় পদ্ধতিতে তৈরি করা এবং অধিকাংশ রিমোট কন্ট্রোল এরিয়ার দ্বারা কন্ট্রোল করা সম্ভব।  পাশাপাশি ভারতের সৌরশক্তিতে মেশিন অর্থাৎ আদিত্য এল-১য়ের  জন্য এই এন্টেনা খুবই উপকারী। যার কারণে ইসরো এই অ্যান্টেনার সঙ্গে কাজ করতে বেশি ইচ্ছা প্রকাশ করে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *