এক চালেই বাজিমাত। কাশ্মীরের পরিকাঠামোর দায়িত্ব যে কারনে দেওয়া হল আরবকে
নিউজ ডেস্ক – ভারত হচ্ছে এমন একটি দেশ যেখানে সমস্ত বৈদেশিক ব্যক্তিদের আনাগোনা লেগেই থাকে বছরের প্রত্যেকটা সময়ে।
কাশ্মীরের জটিলতা রয়েছে। তবে বর্তমানের কাশ্মীরে আরব আমিরাত ইনফ্রাস্ট্রাকচারের দায়িত্ব পেয়েছে। মূলত বিষয়টি ভারতে কাছে একটি বৃহত্তর ইস্যু। ভারত কাশ্মীরের যে সমীকরণ রয়েছে তার মধ্যে কাশ্মীর সঙ্গে আরব আমিরাতের সম্পর্ক গড়ে উঠলে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীর উন্নয়নের অর্থ পাক মদদপুষ্ট জঙ্গী গোষ্ঠীর জন্য তার চালক আইএসআইয়ের টার্গেট আরও কঠিন হয়ে উঠবে। মূলত সেই দিক থেকে রোষের মুখে পড়তে হবে পাকিস্তানকে। পাশাপাশি অমিরাতের শারজায় সঙ্গে খুব শীঘ্রই কাশ্মীরের শ্রীনগরে একটি ফ্লাইট শুরু হওয়ার অল্পবিস্তর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে আবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে দেখা যায় আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক অতি ঘনিষ্ঠ রয়েছে। মূলত যে সময় ভারত জোট-নিরপেক্ষ ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু করে তখন তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোভিয়েতের। অর্থাৎ একদিকে যেমন আমিরাত ও সৌদি আরব ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র ঠিক সেরকমই ভারত ও সোভিয়েতও একই সম্পর্ক বহন করে। অন্যদিকে পাক দেশের সম্পর্ক ছিল আমেরিকা ইউরোপ সহ আরব গোষ্ঠীতে। অতীতের যে সম্পর্কের সমীকরণ হয়েছে সেটির বর্তমানে চরিত্র বদলেছে।
বর্তমানে ভারত-মার্কিন ব্লগে ঢোকার সাথে সাথে পাকিস্তানের থেকে আমেরিকাকে দূরে নিয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি ফ্রান্সকে ইউরোপে অনুভব বহুরূপে কাজে লাগিয়ে আমেরিকার সাথে ভারত যুক্ত হয়ে ইউরোপের সঙ্গে নিজের মসৃণ সম্পর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই সময় ফ্রান্সের মোহাম্মদের কার্টুন বানানো ইস্যুতে একটি বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পাকিস্তানের সঙ্গে ফ্রান্সের ট্রেন্ড বয়কট করে সেটাকে ব্যাক ফায়ার করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত। মূলত সেই কারণে হেলিকপ্টারের চুক্তি বাতিল হয়েছিল পাক ও ফ্রান্সের মধ্যে। অন্যদিকে আবার রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ করে দক্ষিণ চীন সাগরকে হাতিয়ার করেই ইউরোপে কাছ থেকে চীনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে পরিকল্পনা ছিল ভারতের সেটি বাস্তবায়ন রূপ দিয়ে এটি প্রমাণিত করেছিল যে স্ট্র্যাটেজিক পাঠাবে পাকিস্তান চীনের সঙ্গে আর আফগানিস্তান তাতে ফুয়েল ঢেলেছে। যার কারণে বর্তমানেও এফএটিএফ গ্রে লিস্টে অস্তিত্ব রয়েছে পাকিস্তানের।
অন্যদিকে আবার ভারতের শক্তিশালী ও প্রতিবেশী দেশ হল ইসরাইল। মূলত সেই দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের সঙ্গে আরবের সম্পর্ক দ্রুত উন্নয়ন ঘটিয়ে অমরতা ও সৌদির লিবারারকে কাজে লাগিয়ে একাধিক দেশে ভ্রমণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মূলত সেখানের যথার্থ সম্মান পেয়েছেন তিনি। মূলত পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতি থাকার কারণে ভারতের অর্থনীতি কে হাতিয়ার করিয়ে গোটা দেশের ছুরি চালিয়েছেন মোদীজি। সৌদি-আমিরাত, ওমান, ইজিপ্ট এবং বাহরিন ভারতের মার্কেটিং দেখে তার সঙ্গে দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। যার কারণে ওআইসি আর্টিকেল ৩৭০ উঠে যাওয়ার পর আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে শুধুমাত্র একটি দেশ নয় ইরানের চাবাহারে অর্থলগ্নি করে আফগান পরিস্থিতিকে হাতিয়ার বানিয়ে ও ইরান বর্ডারের পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলে খুব সহজেই ইরান এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক নষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল ভারত। কিন্তু শুধুমাত্র কট্টর ইসলামিক চিন্তাধারার কারণে বর্তমানে কাতার আর তুর্কি ভারতের গণ্ডী পার হয়নি এখনো পর্যন্ত। তবে ও ভারতের কূটনৈতিক কারণের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের যে সম্পর্কের শিরচ্ছেদ হয়েছে মূলত সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আফগান এবং পাক তেনাকে মিলিয়ে পাকিস্তানকে আরো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে রীতিমতো কোমর বাঁধছে ভারত সরকার।