২০২০ সালে সামরিক খাতে ভারতবর্ষের কত টাকা লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২১ সালে ভারতবর্ষ সামরিক ক্ষেত্রে কত টাকা ব্যয় করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই হাতে চলে আসবে এই রিপোর্ট এক্ষেত্রে একটা কথা বলা যেতে পারে যে ভারতবর্ষের ডিফেন্স বাজেট দীর্ঘদিন ধরে বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সীমান্তে চীনের বিরুদ্ধে লড়তে এই প্রচুর খরচ করা হচ্ছে। ২০২১ এর হিসাব এখনও না আসলেও ২০২০ তে ভারতবর্ষ সামরিক খাতে কত টাকা খরচ করেছিল তা জানা গেলে একটা আন্দাজ করা যেতেই পারে।
সামরিক খাতে যে ভারতবর্ষ প্রচুর অর্থ খরচ করে তা ইতিমধ্যে প্রমানিত। পৃথিবীর প্রথম তিন দেশের তালিকায় রয়েছে ভারতবর্ষ। ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামরিক ব্যয়ে আমেরিকা এবং চিনের পরেই রয়েছে ভারতবর্ষ।
২০২০ সালে যে তথ্য পাওয়া গেছে তার নিরিখে দেখতে গেলে দেখা যাবে যে আমেরিকার মোট খরচ ছিল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৭৭,৮০০ কোটি ডলার (প্রায় ৫৮ লক্ষ ৩ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা)। চিন খরচ করেছে ২,৫২,০০ কোটি ডলার (প্রায় ২২ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা)। এবং তৃতীয় স্থানে থাকা ভারতবর্ষ ৭,২৯০ কোটি ডলার (প্রায় ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ২১২ কোটি টাকা)। তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া তারা ২০২০ তে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে ৬,১৭০ ডলার (প্রায় ৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৪১ কোটি টাকা), পঞ্চম স্থান থাকা ব্রিটেন খরচ করেছে ৫,৯২০ কোটি ডলার (প্রায় ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা), ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সৌদি আরব, তারা খরচ করেছে ৫,৭৫০ কোটি ডলার (প্রায় ৫ লক্ষ ১৮ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা)। যৌথ ভাবে সপ্তম অধিকার করেছে ফ্রান্স এবং জার্মানি, তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫,৩০০ কোটি ডলার (প্রায় ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা)।
সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনালের ওই রিপোর্টে দাবি করেছে যে, বিশ্বজুড়ে মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৯ শতাংশই করে আমেরিকা। চিন ১৩ শতাংশ এবং ভারতবর্ষ ৩.৭ শতাংশ। ২০১৯ সালের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির তুলনামূলক পরিসংখ্যানেও এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বছরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে ৪.৪ শতাংশ। তবে একটা কথা না বললেই নয় যে ভারতবর্ষ বৃদ্ধির হারে চিনকে (১.৭ শতাংশ) ছাপিয়ে গিয়েছে। ভারতের খচর ইতিমধ্যে ২.৯ শতাংশ ইতিমধ্যে। অর্থাৎ ২০২১ সালে ভারতবর্ষের সামরিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং খরচ দুটি বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।