ডিফেন্স

আসছে এস ৪০০, হাতে রয়েছে বারাক ৮। পরমাণু কেন্দ্র এবং সীমান্তে কোন মিসাইল মোতায়েন করা হবে? ইসরায়েল নাকি রাশিয়ার?

নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিনের মধ্যে ভারতবর্ষের হাতে এস ৪০০ র মতো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আসতে চলেছে। বিশেষ করে চীন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়তে সীমান্তে এই মিসিল মোতায়েন করা হবে। তবে চীনের বিরুদ্ধে শুধু সীমান্তেই নয় একাধিক স্থানে ইতিমধ্যে বেশ কিছু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা আছে। যা ভারতবর্ষের সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে বিমানবাহিনীর যুদ্ধাস্ত্র গুলিকে প্রটেকশান দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে ভারতবর্ষ যদি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কম্যান্ড আলাদাভাবে গড়ার কথা চিন্তা করে তাহলে প্রচুর পরিমানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দরকার আছে বর্তমানে। ভারতবর্ষের হাতেই বর্তমানে এমন তিনটি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রয়েছে যা চীনের যেকোনো মিসাইলকে আটকে দিতে সক্ষম।

QRSAM- সেনাবাহিনীকে প্রটেকশান দেওয়ার জন্য এই মিসাইল ব্যবহার করা হলে সবথেকে ভাল হতে পারে। কারন সেনাবাহিনী সীমান্তে দ্রুত শত্রুর টার্গেটের শিকার হতে পারে। প্রেসেশিয়ান গাইডেড মিউনিশান, ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল হেলি সব থেকে বেশি সেনাবাহিনীর প্রধানদপ্তর এবং সেনাবাহিনীর বেসের ওপর দেখা যায়। সেই কারনে আকারে ছোট এবং তৎক্ষণাৎ উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে QRSAM। সেনাবাহিনীর ফ্রন্ট লাইন এয়ার ডিফেন্স হতে পারে। পাশাপাশি এই মিসাইলটি তে Move Search, Move Track & Fire in short halt ক্ষমতা রয়েছে।

Akash-NG এই মিসাইল মোতায়েন করার সবথেকে উত্তম স্থান হল বিমানাবাহিনির এয়ার বেস গুলিতে। কারন এটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ৭০কিমি রেঞ্জ এবং এস ফয়ার কন্ট্রোল রেডার। এর পারফর্মেন্স শত্রুর কাছে সম্পূর্ণ অজানা। কারন এটি ভারতবর্ষের মাটিতেই তৈরি হয়েছে।ভারতবর্ষের যুদ্ধবিমানের ব্যপক অভাব এবং এ্যওয়াক্সের মত হাই ভ্যলু এ্যসেট কোনও ভাবে শত্রুর গ্রাউন্ড আক্রমনে নষ্ট হতে দেওয়া যাবেনা। সেই কারনে লং রেঞ্জ দেশীয় এয়ার ডিফেন্স ভারতবর্ষের কাছে সবথেকে ভাল অপশান হতে পারে। আরও ভালো হয় যদি Akash-NG এর সাথে QRSAM এর দ্বিস্তরীয় এয়ারডিফেন্স সিস্টেম রাখা হয় এয়ার বেস প্রোটেক্সানের জন্য। উল্লেখ্য Move Search, Move Track & Fire in short halt কেপেবিলিটি Akash-NG এর ও আছে।

Barak-8 ভারতবর্ষ এবং ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি। এই হল শত্রুপক্ষের কাছে যমের মতো।এই ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করার সবথেকে ভাল জায়গা হল ভারতের বিভিন্ন পরিকাঠাম যেমন ব্রীজ, জ্বালানী রাখার জায়গা, পাওয়ার গ্রীডের মত জায়গা। কারন এটি ব্যালেস্টিক মিসাইল এবং হাইপারসনিক গ্লাইগ ভেহিকেল বাদে সব কিছুই এই এয়ারডিফেন্স টার্গেট করতে পারে। বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে এর ক্ষমতা ইতিমধ্যে প্রমানিত।

এস-৪০০ এখনও সার্ভিসে আসেনি এই মিসাইল। তবে এস-৪০০ এর সব থেকে ভালো জায়গা হল নিউক্লীয়ার পাওয়ার প্ল্যন্ট, নিউক্লীয়ার ওয়ারহেড স্টোরেজ এবং বিভিন্ন শহরে মোতায়েন ব্যলিস্টিক মিসাইল ডিফেন্সের জন্য। 

তবে ভারতবর্ষের উচিৎ প্রচুর পরিমানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেশের মাটিতে তৈরি করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *