ডিফেন্স

জলের নীচে শক্তি বাড়িয়ে ভারতবর্ষকে পরমাণু সাবমেরিন বিক্রি করতে চলেছে রাশিয়া। জানুন বিস্তারিত

নিউজ ডেস্কঃ জলের নীচে বিরাট পরিমানে শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া। আসলে আমেরিকা বা ইউরোপের মতো দেশ গুলি যখন বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান তৈরি করার কথা ভাবছে সেইসময় থেকেই রাশিয়া যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ভয়ঙ্কর সাবমেরিন তৈরি করার দিকে ঝুঁকেছে।

রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এই সাবমেরিন গুলির উপর বিশেষভাবে নজর রাখছে। শেষপর্যন্ত একাধিক সুত্র মারফৎ জানা যায় যে রাশিয়া পারমানবিক সাবমেরিন নির্মানে অনেক দুর এগিয়ে গেছে। নীরবে রাশিয়া রাশিয়ান সাগরে প্রশিক্ষন, অনুশিলনও শুরু করেছে।

তবে এই কাজ বহু দিন ধরেই করে আসছে রাশিয়া। জলের নীচে শক্তি বাড়াতে বহু দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পুতিনের দেশ। তবে রাশিয়া পারমানবিক চালিত সাবমেরিন বিক্রিও করতে চলেছে। 

রাশিয়ার এই জলের নীচে শক্তি বাড়ানোকে ভাল দেখছে না পৃথিবীর বহু দেশ। বিশেষ করে আমেরিকা এবং ইউরোপের অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে না বললেও রাশিয়া তাদের ঘুম কেড়ে নিতে চলেছে। কারন রাশিয়ার সাবমেরিন অগ্রগতি রীতিমতো বিশ্বের বিভিন্ন সাগর রাজ্যে আধিপত্য সৃষ্টি করবে। আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে যে মহড়া দেয় তারা এখন রাশিয়ার সাবমেরিনের ভয়ে ত্রস্ত। আমেরিকার এই সব মহড়া আসতে আসতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

পাশাপাশি আমেরিকা থেকে জানানো হয়েছে রাশিয়ার সাবমেরিন আধিপত্য বন্ধ করার জন্য। তবে কেউ কারও কথা শোনার নয়। রাশিয়া তাদের সাবমেরিন উন্নয়ন এবং গবেষনায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। যা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর জন্য হুমকিস্বরূপ।বিশেষ করে শেষ কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার নৌ বাহিনী পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরীর কাজে হাত দিয়েছে। সবমেরিন গুলি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যা অনেকটা আক্রমণাত্মক। সামরিক বিশেষজ্ঞরা মতে, বর্তমানে সমুদ্রের তলদেশে রাশিয়ার যে কার্যক্রম রয়েছে তা শেষ দুদশকের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। তাদের এই সাবমেরিন তৈরি করার প্রক্রিয়া থামাতে না পারলে প্রচুর দেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সাবমেরিন গুলি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে তেমনই খবর। রাশিয়ার তৈরি করা পরমাণু সাবমেরিন ভারতবর্ষের হাতে আসতে চলেছে। সাবমেরিনটি পুরানো হলেও এখনও বেশ কার্যকর। ভারতবর্ষ রাশিয়ার এই পরমাণু সাবমেরিন পেলে এক লাফে ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *