এগিয়ে ভারতবর্ষ। বাইডেন ক্ষমতার আসার পর ভ্যাকসিনের আয়োজন করতে ব্যর্থ হচ্ছে আমেরিকা
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের কোন কিছু করলে সামনে চলে আসে সকলের। অর্থাৎ নিন্দাচর্চা করতে শুরু করে দেয়। অর্থাৎ কোন অসুবিধা হলেও বা পিছিয়ে যাওয়ার ব্যাপার থাকলেও ভারতবর্ষের সমালোচনা করতে একটুও পিছুপা হয়না আমেরিকা, ইউরোপের মতো দেশ গুলি। সেখানে দাড়িয়ে তাদের দেশের কিছু ভুলভ্রান্তি হলে তখন আর সেইভাবে মাথা ব্যাথা দেখা যায়না আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গুলির একাংশের এমনটাই মত একাধিক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। করোনা পরিস্থিতে তার একটুও খেলাপ হলনা। অর্থাৎ বাইডেন প্রশাসন যে কতোটা পিছিয়ে তা ইতিমধ্যে সামনে আসছে কারন আফগানিস্থান ইস্যু থেকে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে।
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা কোনটাই সেভাবে রাখতে পারছে না। ক্ষমতায় আসার পর ঘোষণা করে যে ২০ কোটি ভ্যাক্সিন দেওয়া হতে চলেছে।
ক্ষমতায় আসার পর জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে ঘোষণা করেছিলন, “তার অফিস শুরুর 100 দিনের মধ্যে 100 মিলিয়ন (অর্থাৎ 10 কোটি) আমেরিকার নাগরিককে করোনার ভ্যাক্সিন দেবে”।
কিছুদিন পর আমাজন এই ভ্যাক্সিন ড্রাইভে বিডেনকে সাহায্য করতে চাইলে, তখন 25শে জানুয়ারি বিডেন আরো উত্তেজিত হয়ে গিয়ে বললো “150 মিলিয়ন (অর্থাৎ 15 কোটি) আমেরিকার নাগরিক ভ্যাক্সিন পাবেন ওই 100 দিনের মধ্যে”।
কিছুদিন পর প্রেসিডেন্ট আবার তার পুরোনো 100 মিলিয়নের প্রস্তাবেই ফিরে গেল 150 মিলিয়নকে ধামাচাপা দিয়ে।
এরপরে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে বিডেন ঘোষণা করলো “ওই 100 দিনের মধ্যেই মোট 200 মিলিয়ন (20 কোটি) আমেরিকান নাগরিক ভ্যাক্সিন পাবেন”।
এই একশো দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ চিক এপ্রিল মাসের 30 তারিখ।
আর বাস্তবে প্রায় 111 দিন দেরী করে আগস্টের 20 তারিখে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের 20 কোটি ভ্যাক্সিনের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে, তাও সিঙ্গল ডোজ। এবার ব্যাপারটা হল এখানে আমেরিকাকে টানা হল কেন? আসলে ভারতবর্ষে কিছু হলে তারাই আগে ভারতবর্ষকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করে আর আজ ভারতবর্ষ কিছুদিন আগেই ১ দিনে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাক্সিন দিয়েছে।