ডিফেন্স

চীনের বিরুদ্ধে আক্রমন করতে বা মেরিটাইম স্ট্রাইকের জন্য ৩৪ টি মিসাইল ইন্সটল করা হতে পারে আমেরিকার বিমানে

নিউজ ডেস্কঃ চীন এবং পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ গুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতবর্ষের যুদ্ধজাহাজ গুলিতে নতুন কিছু টেকনোলোজির পাশাপাশি আমেরিকার থেকেও কিছু টেকনোলোজি ইতিমধ্যে ভারতবর্ষের হাতে এসেছে। যা চীনের ডুবোজাহাজ থেকে শুরু করে যুদ্ধজাহাজ গুলির জন্য ভয়ঙ্কর। তবে ভারতের থাকা মিসাইল গুলিও ঘুম কেড়ে নিতে পারে।

ভারতবর্ষের হাতে থাকা জাগুয়ার যুদ্ধবিমান যা শত্রুপক্ষের জাহাজ গুলির বিরুদ্ধে লো ফ্লাই জোনে আক্রমন করতে বিরাটভাবে সক্ষম। বিশেষ করে মেরিটাইম স্ট্রাইকের জন্য। হার্পুন এজিএম-৮৪এল ব্লক-২ এ্যন্টি শিপ মিসাইল। এদের রেঞ্জ ১২৪কিমি। সাবসনিক গতীতে এই মিসাইল লো ফ্লাই করতে বিশেষভাবে পারদর্শী। পাশাপাশি এই মিসাইল গুলির ডাটা লিংক জ্যম করাও খুব শক্ত। এর সাথে এর ওয়ারহেড প্রচণ্ড পরিমানে হাই এক্সপ্লোসিভ বহন করে।

ভারতের কাছে এই ভার্সানের ৩৪টি মিসাইল রয়েছে বর্তমানে যা সাবমেরিন হান্টার পি-৮ আই নেপচুন আর জাগুয়ারের জন্য।

মেরিটাইম স্ট্রাইকের জন্য নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমান বা বিশেষ যুদ্ধবিমানের  সাথে এ্যন্টিশিপ মিসাইল একটা ডেডলি কম্বো। কারন কোনো যুদ্ধজাহাজের বিরুদ্ধে এরা নিজেদের মিসাইল লঞ্চ করার পাশাপাশি দ্রুত U টার্ন নিতে সক্ষম।

খুব সোজা করে বললে চীনের দুটি যুদ্ধজাহাজ টাইপ-৫২সি ডেস্ট্রয়ার আর দুটি টাইপ-০৩৯এ সাবমেরিন মালাক্কা প্রণালী থেকে ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করছে। সেখানে ভারতবর্ষের কোন যুদ্ধজাহাজ নেই। এবার আন্দামান থেকে লঞ্চ করা হল একটি ফ্যলকন এ্যওয়াক্স সাথে একটি সাবমেরিন হান্টার পি-০৮আই নেপচুন। ৫০০ কিমি দুর থেকে টাইপ-৫২সি শনাক্ত করা  হল ফ্যল্কনের মাধ্যমে। এবার ধরা যাক শিপ গুলো ফ্যলকনকেও শনাক্ত করে ফেলল নিজের প্যসিভ সেন্সর বা এ্যক্টিভ রেডার এর দ্বারা। সেক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধা হবেনা কারন HHQ-09 এয়ার ডিফেন্সের রেঞ্জের (১৫০কিমি) সেক্ষেত্রে অনেক অনেক দুরে থেকেই ফ্যল্কন উড়ছে। সমস্ত শনাক্তকরণের খবর GPS Coordinates পাঠানো হল জাগুয়ার স্কোয়ার্ডনে। এক্ষেত্রে ফ্যলকন গুলি ইসরায়েলের BNET SDR ব্যবহার করায় পুরো কথোপকথন চীনের কমিউনিকেশান ইন্টেলিজেন্স বা কমিউনিকেশান জ্যমারে ধরাই পরবে না। ইতিমধ্যে সাবমেরিন হান্টার পি-০৮আই নেপচুনের দ্বারা শনাক্ত হল সাবমেরিন। সাবমেরিনটি শনাক্ত হওয়ার পর সাবমেরিনের আর কোনো কিছু করার থাকে না। আক্রমন করা নির্ভর করে আক্রমণকারীর ইচ্ছার ওপর। যেহুতু সাবমেরিনে কোনো এয়ার ডিফেন্স থাকে না আর থাকলেও ম্যনপ্যডের মত রেঞ্জ তাই নিজেকে ডিফেন্ড করার কোনোও প্রশ্নও নেই।

খবর পাওয়ার পর চারটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান রওনা দিল দুটি ড্রপ ট্যাঙ্ক এবং একটি করে হার্পুন মিসাইল নিয়ে। হার্পুনের রেঞ্জ ১২৪কিমি আর ১৫০কিমি রেঞ্জের এয়ার ডিফেন্স শত্রুপক্ষের। সেক্ষেত্রে ইচ্ছামত গেলে সুইসাইড মিশন হয়ে যাবে জাগুয়ারের জন্য। তাও আবার হার্পুন মিসাইল লঞ্চ করার আগে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে জাগুয়ারকে একদম লো ফ্লাইট প্রোফাইল নিতে হবে। অর্থাৎ অনেক নীচ থেকে উড়তে হবে। 

নীচ থেকে ফ্লাই করতে সক্ষম ফলে চীনের যুদ্ধজাহাজ গুলির কাছে এটি অদৃশ্য হয়ে যাবে। আর যুদ্ধবিমানটি ১০০কিমির দূরত্বে পৌছে হার্পুন মিসাইল লঞ্চ করল। হার্পুনকে গাইডেন্স দেওয়া শুরু করলো দুরে দাড়িয়ে থাকা এ্যওয়িক্স। এই হল Cooperative Engagement! এবারর ইউ টার্ন নিয়ে এদিকে জাগুয়ার গুলি নিজের বেসের দিকে রওয়ান দিয়েছে। লো ফ্লাইটে যখন ১৫কিমি দুরে হার্পুন মিসাইলকে শনাক্ত করবে তখন তাকে ইন্টার্সেপ্ট চীন করতে পারবে কি না সে বিষয় যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যদি একটিও মিসাইল না হিট করে ডেস্ট্রয়ার কিন্তু যদি নাও ডুবে যায় তাও অচল হয়ে পরবে আর রেডার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে প্রবল। আর যদি সব গুলো মিসাইল ইন্টার্সেপ্ট করে তবে একই ভাবে দ্বিতীয় তার পর তৃতীয় ওয়েভ। মিস করলেই শেষ নইলে এয়ার ডিফেন্সের স্টক শেষ করে চীনা জাহাজ একটা টার্গেট প্র্যক্টিসে পরিনত হবে ভারতবর্ষের কাছে।

যতটা ভয় চীনের নেভাল বিল্ড আপ কে ততটা নৌবাহিনী ভয় পায় না এই কারন বশত। কারন চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত আসল খেলা খেলবে যুদ্ধবিমান এবং পি-০৮আই নেপচুন দ্বারা।

জাগুয়ার আর হার্পুন তো গেল। সুখোই আর এয়ার লঞ্চড ব্রাহ্মোস ৪০০০কিমি দুরে টার্গেট হিট করার ক্ষমতা রাখে।হয়তো হার্পুনকে তারা কম গতীর কারনে শেষমুহূর্তে ইন্টার্সেপ্টও করতে পারবে। কিন্তু ব্রাহ্মোস?

বলা বাহুল্য যে একই জিনিস পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করতে পারবে না। কারন দুই দেশ উপকূলবর্তী সিমানা শেয়ার করে। আর ভারতবর্ষের এক্ষেত্রে সুবিধা এতটাই বেশি যে ভারতের প্রয়োজনই পরবে না ব্রাহ্মোসের কোষ্টাল ব্যটারি যদি গুজরাটে বসান হয় তাহলে পুরো পাকিস্তানের নৌবাহিনীর জাহাজ ভারতের রেঞ্জের মধ্যে থাকবে। পুরো কোষ্ট লাইন করাচী আর গাদোয়ার পোর্ট সহ ভারতের রেঞ্জে। ভারত শুধু সুইচ টিপবে আর করাচী পোর্ট পৃথিবীর মানচিত্রে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *