ভার্টিক্যাল টেক এবং ল্যান্ডিং এর জন্য ইঞ্জিন তৈরি করে রেখেছে রাশিয়া। মোট কত গুলি ইঞ্জিন তৈরি করে রেখেছে তারা?
নিউজ ডেস্কঃ এফ ৩৫। আমেরিকার হাতে থাকা অত্যাধুনিক চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যার মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের টেকনোলোজি রয়েছে। পাশাপাশি এই যুদ্ধবিমানকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এফ ২২ র্যাপ্টরের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। এই যুদ্ধবিমান গুলির সবথেকে বড় সুবিধা হল ভারটিক্যাল টেকঅফ এবং ল্যান্ডিং। এতদিন পর্যন্ত আমেরিকার আছে এই টেকনোলজির যুদ্ধবিমান থাকলেও পৃথিবীর অন্য দেশ গুলির হাতে এই ধরনের যুদ্ধবিমান সচরাচর দেখা যায়না। তবে রাশিয়া যেকোনো মুহূর্তে এই ধরনের যুদ্ধবিমান সামনে নিয়ে আসতে পারে। আর সেই জন্য তারা বহু বছর আগেই তার প্রস্তুতি সেরে রেখে দিয়েছে। অনেকের ধারনার বাইরে যে রাশিয়া ১৯৮০র দশকেই এই ধরনের টেকনোলোজি নিয়ে গবেষণা করে।
রাশিয়ান R-79V-300 জেট ইন্জিন যা F-35 এর মতন ভার্টিক্যাল টেকঅফ এন্ড ল্যান্ডিং এর জন্য ব্যবহৃত হতে চলেছে। কিছুদিন আগে মস্কোতে এর প্রদর্শন করা হয়।
যুদ্ধবিমানটির ইঞ্জিন তৈরির কাজ শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। এরপর ১৯৮৪ সালে এর গ্রাউন্ড টেস্ট হয়। সেইসময় তারা Yak 41M (রি ডিজাইন করে YAK-141 বানানো হয়েছিল) এ প্রথম এই ইন্জিন ইনস্টল করা হয়। পাশাপাশি এই ইঞ্জিনের ফ্লাইট টেস্ট হয় ১৯৮৭ সালের ৯ মার্চ। তবে এই যুদ্ধবিমান সার্ভিসে আনা হয়নি। এবং প্রোজেক্ট বাতিল হয়ে যায় ১৯৯১ সালে। কিন্তু ইন্জিন ডেভেলপমেন্টের কাজ চলতে থাকে। রাশিয়া ২৬ টি এই ধরনের ইন্জিন তৈরি করেছিল সেইসময়।
ভবিষ্যতে রাশিয়া যেকোনো সময় ভারর্টিক্যাল টেক অফ এবং ল্যান্ডিং যুদ্ধবিমান সামনে নিয়ে আসতে পারে এই ইঞ্জিনের ব্যবহার করেই।