ডিফেন্স

দাউদ কি মারতে এখনও কেন হাত গুটিয়ে বসে আছে ভারতবর্ষ?

নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনোকিছু করার আগে শতবার ভাবা উচিৎ। কারন তাদের বিরুদ্ধে গেলে বা কোনরূপভাবে আমেরিকার ক্ষতি করলে তারা জবাব দেবেই। ইতিমধ্যে তা বেশ কয়েকবার তারা প্রমান করে দিয়েছে।

২০০১ সালে টুইন টাওয়ার আক্রমণ করেছিল আলকায়দা জঙ্গি সংগঠনের প্রধান ওসামা বিন লাদেন। প্রচুর মানুষ প্রান হারিয়েছিল সেইসময়। বদলা নিতে একটুও পিছুপা হয়নি বা ছেড়ে দেয়নি, দীর্ঘ ১০ বছর ২ মে ২০১১ তে বা এক দশক পর মাত্র ২৩ জন নেভী সিল কম্যান্ডো ৪০ মিনিটের ভেতরে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে লাশ নিয়ে আমেরিকায় চলে যায়। পরে বিস্তারিত স্বীকার করে তারা। 

এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার বেশ কয়েকমাস পর আলকায়দা সংগঠনের অন্যতম প্রধান আনোয়ার আল আওলাকিকেও অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল দিয়ে হত্যা করে আমেরিকার বায়ুসেনা। আমেরিকায় বসবাসরত এক আলেম ছিলেন তিনি। এরপর টেক্সাসের সেনা ঘাটিতে আমেরিকার বায়ুসেনার কিছু সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে মেজর নিদাল হাসান। পর জানা যায় যে তিনি আল আওলাকির কাছে দীক্ষিত হয়েছিলেন। ইয়েমেনে পালিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। আমেরিকার বায়ুসেনা টাকে পিক আপ চলন্ত অবস্থায় হত্যা করে। 

অন্যদিকে ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে ১৯৯৩ সালে বিরাট বড় জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিমের বসবাসের স্থান জেনেও কিছু করতে পারেনি ভারতবর্ষ। যদিও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান অজিত ডোভাল বেস কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছিলেন দাউদকে হত্যা করতে কিন্তু মুম্বাই পুলিশের কিছু চক্রান্তের জন্য তা হতে পারেনি বলে মত একাধিক সুত্রের।

দীর্ঘ ২৮ বছর কেটে গেছে। দাউদ পাকিস্তানের করাচির ক্লিফটনের হোয়াইট হাউসে থাকেন। তবুও কিছু করতে পারছেনা। যদিও ভারতে আনোয়ার আল আওলাকি বিশিষ্ট আলেম জাকির নায়েকেরও কিছু করতে পারেনি ভারতবর্ষ এখনও। তবে ভবিষ্যতে এদের বিরুদ্ধে কি আদৌ কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এর এদের যদি হত্যা করার মতো কোন বিষয় সামনে এসে তবে কাদের ব্যবহার করা হতে পারে? প্যারা এসএফ?)এনএসজি? গারুদ? নাকি মার্কোস কমান্ডোদের?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *