ডিফেন্স

শনির থেকে ২০০ গুন বড়। ব্যাসার্ধ ৮৯ মিলিয়ন কিলোমিটার। কোথায় রয়েছে এমন আশ্চর্য গ্রহ?

নিউজ ডেস্কঃ লর্ড অফ দ্য রিংস। বিখ্যাত একটি ছবি। ছবিটি দেখেনি এমন সিনে প্রেমি মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে এই ছবির নামানুসারে আরও কিছু থাকতে পারে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে। আসলে সৌরজগতের বাইরে যে কতকিছু তা এখনও অনেক কিছুই মানুষ জানেই না। আসলে এখনও এই মহাবিশ্বে অনেক আবিষ্কার করা হয়নি।

সৌরজগতের মধ্যে যা গ্রহ আছে তাদের মধ্যে বৃহস্পতি এবং শনিকে নিয়ে অনেক কথাই শোনা যায়। শনির সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে শনির চারপাশে থাকা রিং। ধূলিকণা এবং বরফ নিয়ে শনি গ্রহ হল আমাদের সৌরজগতের কিং অফ দ্য মুন। তার কারন হল পৃথিবীর যেমন একটি উপগ্রহ ঠিক তেমনই শনির ৮২ টি উপগ্রহ বা ৮২ টি চাঁদ রয়েছে। তবে জানেন কি শনির মতো  আরও একটি গ্রহ আছে যাকে সুপার স্যাটার্ন বলা হয়ে থাকে।

সূর্যের মতোই একটি নক্ষত্র হল J1407 যা পৃথিবী থেকে ৪৬০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। এবং এর একটি গ্রহ যার নাম J1407B।  গ্রহটি বৃহস্পতির থেকে ১০ গুন আয়তনে বড়, এবং ১৩ থেকে ২৬ গুন ভর বেশি। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে এটি কত বড় মাপের গ্রহ হতে পারে। তবে এসবের বাইরেও যেটা বড় ব্যাপার, তাহল শনির মতো এর একটি রিং রয়েছে। এবং শনির রিং এর থেকে এটি কয়েকশো গুন বড়।

শনির ব্যাসার্ধ ২ লক্ষ ৮২ হাজার কিলোমিটার, সেখানে J1407B এর ৮৯ মিলিয়ন কিলোমিটার। সূর্যের থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ১৪৮ মিলিয়ন কিলোমিটার। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে এটি কত বড় মাপের হতে পারে। এর মোট ৩৭ টি রিং রয়েছে, আর সেই কারনে একে সুপার স্যটার্ন বা স্যটার্ন অন স্টেরয়েড বলা হয়ে থাকে। আর এর রিংকে বলা হয়ে থাকে “লর্ড অফ দ্যি রিংস” । যদি এই রিং শনির হত তবে পৃথিবী থেকে এটি চাঁদের তুলনায় অনেক গুন বড় দেখাত। এই গ্রহের রিংটি শনির থেকে ২০০ গুন বড়। আর এটি এতো বড় মাপের হওয়ার কারনে একে ডোয়ার্ফ স্টার বা “ফেইল্ড স্টার” ও বলা হয়ে থাকে। গ্রহটির বয়েস বেশিনা। মাত্র ১৬ মিলিয়ন বছর পুরনো অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন যে সৌরজগতের বাকি গ্রহদের থেকে কতোটা বয়েসে ছোট। বিজ্ঞানীদের মতে এই রিং বেশি দিন স্থায়ী হবেনা, কারন রিঙের বালি ও বরফকনা একে অপরের সাথে ধাক্কা খেয়ে এই গ্রহের একাধিক উপগ্রহ নির্মাণ করবে। তবে ভেবে দেখুন যে সৌরজগতে যদি শনির এমন রিং থাকতো তাহলে আকাশটা কি দুর্দান্ত লাগত রাতের বেলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *