ডিফেন্স

ভারত মহাসাগরে চীনের গতিবিধি নজরে রাখতে ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ের টেকনোলোজি আবার আসছে নৌবাহিনীতে

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের নৌবাহিনীর ক্ষমতা বিরাটভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দশকে নৌবাহিনীর জন্য একের পর এক যুদ্ধাস্ত্র আসবে। বিরাট পরিমানে যুদ্ধাস্ত্র আসার পাশাপাশি অত্যাধুনিক টেকনোলোজি ও পেতে চলেছে নৌসেনা।

নৌবাহিনী ২৪ ঘণ্টা নজর রাখতে আবারও এক টেকনোলোজি আনতে চলেছে। ওভার দ্য হরাইজন। নতুন এই রেডারের প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে ডি আর ডি ও। ৬ মাসের মধ্যে এর পরীক্ষা করা হবে এবং ১৮মাসের মধ্যেই সার্ভিসে আসতে চলেছে। অর্ডার করার মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই ভারতের নৌসেনাকে এই টেকনোলোজি ডেলিভারি করা যাবে।

এই টেকনোলোজি সার্ভিসে আনার প্রধান কারন হল সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানো। ২৪*৭ যাতে নজরদারি চালানো যায়, সেই কারনেই এই টেকনোলোজি সার্ভিসে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমুদ্রে নজরদারি চালাতে  স্যাটেলাইট, মেরিটাইম সারভিলেন্স এয়ারক্রাফট ও ড্রোনের সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার, কোস্টাল সারভিলেন্স রেডার ও শিপ বেসড রেডার ব্যবহার করা হয়। তবে বিরাট এলাকা জুড়ে মাঝে মধ্যেই একাধিক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, ২৪×৭ ঘন্টা নজরদারি করতে শুধু এয়ারবোর্ন সারভিলেন্স রেডার যথেষ্ট নয়। আর সেই কারনে দরকার হয় শক্তিশালী OTH রেডার(ওভার দ্য হরাইজন)। 

১৯৫০-৬০ দিকে এই রেডার গুলিকে সার্ভিসে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর এই রেডার গুলিকে আওাক্স দিয়ে পরিবর্তন করা হয়। তবে বর্তমান দিনে এই টেকনোলোজির চাহিদা আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই টেকনোলোজির রেঞ্জের পরিমাণ বেশি হওয়ার পাশাপাশি এর রক্ষনাবেক্ষন খরচ অনেক কম। 

চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা, আমেরিকা, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া পর নবম দেশ হিসাবে এই রেডার তৈরি করতে চলেছে ভারতবরস। চীনের গতিবিধির উপর নজর রাখতেই এই রেডার সার্ভিসে আনা হচ্ছে। ভারত মহাসাগরে চীনের গতিবিধি নজরে রাখতেই মুলত সার্ভিসে আনা হচ্ছে। 

সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই যে পৃথিবীর বাকি দেশ গুলি ২০১০ এর মধ্যে এই রেডার সার্ভিসে নিয়ে এসেছে যেখানে ভারতবর্ষ ২০১৭ সালে এর প্রজেক্ট শুরু করেছে। এত বছর ধরে আগের সরকার এই প্রোজেক্ট ঝুলিয়ে রেখেছিল কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *