নিঃশব্দে শত্রুদের চোখ এড়িয়ে জলের গভীরে ঘাপটি মেরে থাকবে INS Kalvari। কত মিটার গভীরে যেতে সক্ষম জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের একাধিক সাবমেরিন রয়েছে যা যেকোনো সময় শত্রুপক্ষের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। ভারতবর্ষের বেশিরভাগ সাবমেরিন গুলিই চীন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোপন মিশনে থাকে সারা বছর ধরে। আর এই সাবমেরিন গুলি বেশিরভাগ রাশিয়ার থেকে ক্রয় করা। তবে এখন সাবমেরিন গুলি মেক ইন্ডিয়া প্রোজেক্টের আওতায় আনা হচ্ছে। ভারতবর্ষের হাতে থাকে আই এন এস কালভেরি। মেক ইন ইন্ডিয়ার আওতায় এই সাবমেরিনটি তৈরি করা হয়।
মুম্বইয়ের ম্যাজাগন ডক লিমিটেড তৈরি করেছে এটি।
সাবমেরিন জলের নীচে থাকলে প্রচুর পরিমানে অক্সিজেনের দরকার হয়ে থাকে। যার ফলে অনেকসময় শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এর গতিবিধি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে যায়। তবে এই সাবমেরিনে ইনডিপেন্ডেন্ট প্রপালসান সিস্টেম থাকার ফলে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন নেওয়ার প্রয়োজন হবেনা।
সাবমেরিনের একটি বড় কাজ হল যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা। সেই কারনে সাবমেরিন গুলিতে প্রচুর পরিমানে বিধ্বংসী মিসাইল রাখতে হয়। আর সেই কথা মাথায় রেখে এটিতে ১৮ টি টর্পেডো বহন করতে পারে। আর এই টর্পেডো গুলি বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন, কারন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার জন্য ডি আর ডি ও আলাদাভাবে ডিসাইন করেছে। অস্ত্র গুলির নাম দেওয়া হয়েছে “বরুনাস্ত্র” যার রেঞ্জ ৪০ কিমি।
এই বিশেষ সাবমেরিনটি শত্রুর জাহাজ ধ্বংস করার জন্য ১৮ টি বিধ্বংসী অ্যান্টি শিপ মিসাইল রয়েছে, যা ১৮০ কিমির মধ্যে যেকোনো যুদ্ধজাহাজকে ধ্বংস করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই মিসাইল গুলি এতোটাই ভয়ংকর যে এগুলি ফাইনাল ষ্টেজ না আসার আগে পর্যন্ত শত্রুপক্ষ জানতেও পারবেনা যে তাদের যুদ্ধজাহাজের দিকে মিসাইল ধেয়ে আসছে।
পরমাণু ক্ষমতা সম্পন্ন সাবমেরিন গুলিতে শব্দ হয়, যার কারনে শত্রুপক্ষ টের পেয়ে যায় সাবমেরিনের অবস্থান। তবে আই এন এস কাল্ভেরিতে এয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট প্রপালসান সিস্টেম থাকার কারনে ২১ দিন পর্যন্ত নিঃশব্দে বিচরন গোপন মিশনে থাকতে সক্ষম।
জলে ভেসে থাকলে সাবমেরিনটির রেঞ্জ ১২০০০ কিমি কিন্তু জলের গভীরে থাকলে তা ১০০০ কিলোমিটার। সুতরাং সাবমেরিন যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নজরদারি বিশেষভাবে চালাতে সক্ষম তা আর বলার দরকার নেই। ৩৫০ মিটার গভীর থেকে এটি হামলা করার পাশাপাশি সাবমেরিনটির রেঞ্জ ৩৭কিমি/ঘণ্টা।