ডিফেন্স

পরবর্তী প্রজন্মের এই বিধ্বংসী মিসাইল আসছে সেনাবাহিনীর হাতে। এক ঝলকে দেখেনিন এর ক্ষমতা

নিউজ ডেস্কঃ  ভারতবর্ষের হাতে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রযুক্তির মিসাইল আছে। অপরদিকে আবার একাধিক মিসাইল নিয়ে রিসার্চ চলছে। এবং সবঠিক থাকলে আগামি দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই আবারও বেশ কিছু দেশীয় বিধ্বংসী মিসাইল পেতে পারে সেনাবাহিনী।

ভারত এর দেশীয় Astra IR মিসাইল এর উৎপাদন খুব সম্ভব 2022 সালে শুরু হতে পারে।

Astra BVRAAM এর  মিসাইল থাকবে প্যাসিভ ইমেজিং IR সিকার ডুয়াল ওয়েভ ব্যান্ড যুক্ত। যেটি মিসাইলকে টার্মিনাল গাইডেন্স দেয় লক্ষের কাছে পৌঁছতে। একে চালনা করে ধোঁয়া মুক্ত সলিড প্রপেলেন্ট সঙ্গে উচ্চ ক্ষমতা যুক্ত হাই ইমপালস মোটর। যা এই মিসাইলকে আরো ভাল কাজ করার ক্ষমতা দেয় ভিসুয়াল কমবাট আর কম পাল্লার ক্ষেত্রে।

Astra IR এর নিন্মতাম রেঞ্জ হবে 500 মিটার আর সর্বোচ্চ 60 কিমি সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে। সিকার ট্রাক থাকার জন্য এই জাতীয় মিসাইল দুনিয়া জুড়েই কিছু দুর্বলতা রয়েছে। Astra IR lock on লঞ্চ এর আগে অথবা lock অন লঞ্চ এর পরে দুই মোডে ব্যাবহার করা যায়। IR সিকার থাকার কারণে এই মিসাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক্ষ বস্তুকে ট্রাক ,শনাক্তকরণ ও লক করতে সক্ষম। এটি বিমান বাহিনীর সমস্ত যুদ্ধবিমান গুলিতেই লাগান হতে পারে,কারণ এই মিসাইল ইনস্টল করতে বিমানের মিশন কম্পিউটার খুব বেশি সফটওয়ার চেঞ্জ করার প্রয়োজন পরে না।

Astra IR হল একটি মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার মিসাইল যেটা তৈরি করা হবে Astra Mk1 RF(active radar homing head) মিসাইল কে রিপ্লেস করতে, আবার DRDO একটি নেক্সট জেনারেশন ক্লোজ কমবাট মিসাইল NGCCM ,WVR এর উপর কাজ করছে( within visual range)।

এছাড়া DRDO দুই লং রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার মিসাইল এর উপর কাজ করছে Astra Mk 2 ,যেটি হবে ডুয়াল পালস প্রপালশন আর Astra Mk 3 air breathing ramjet প্রপালশন বেস করে। এছাড়া সঙ্গে আসছে NGCCM অবশ্য উপরোক্ত দুটি মিসাইল কাজ শেষ হলে এই মিসাইল টির কাজ শুরু হবে। বর্তমানে IAF MBDA এর ASRAAM এডভান্স শর্ট রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার মিসাইল ক্লোজ কমবাট এর জন্য ব্যাবহার করবে ও বেশীর ভাগ বিমানে এটি ইনস্টল হচ্ছে ও হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *