৯০% ই ভারতীয় টেকনোলোজি দিয়ে তৈরি ভয়ংকর মিসাইল আসতে চলেছে এবার সেনাবাহিনীর হাতে। কি ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হবে এই মিসাইল?
নিউজ ডেস্কঃ দেশের মাটিতেই যে একের পর এক মিসাইল তৈরি হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। যদিও DRDO এর সম্প্রতি কাজ চোখে পরার মতো। একাধিক অত্যাধুনিক মিসাইল তৈরি করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অত্যাধুনিক টেকনোলোজি যেভাবে সামনে আনছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।
আগামী সাত থেকে আট মাসের মধ্যে প্রোডাকশনে যেতে চলেছে DRDO QR-SAM। যদিও আগামী ছয়মাস এর ইউজার ট্রায়াল চলবে। DRDO QR-SAM নতুন প্রজন্মের দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় দিতে সক্ষম এই এয়ার ডিফেন্স মিসাইলটি। ত্রিশ কিলোমিটার দূরত্ব ও দশ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে থাকা এরিয়াল হুমকিকে এটি ধংস করতে সক্ষম। অর্থাৎ এই রেঞ্জের মধ্যে আসা যেকোন যুদ্ধবিমান,হেলিকপ্টার, ড্রোনকে এটি দ্রুত ধংস করতে পারে।
বর্তমানে এই QR-SAM এর টেকনোলোজি ৯০% ই ভারতীয় এবং খুব শীঘ্রই এটি ১০০% ভারতীয় হতে চলেছে।এই সিস্টেমের সমস্ত সফটওয়্যার, কোড এবং লজিক সিস্টেম দেশেই তৈরী। এটির রাডার এবং কন্ট্রোল ইউনিট সিস্টেম তৈরী করেছে ‘ভারত ইলেকট্রনিক লিমিটেড’ (BEL), এর লঞ্চার সিস্টেম তৈরী করেছে লার্সন এন্ড টুব্রো (L&T) এবং এর মিসাইল গুলি তৈরী করেছে ‘ভারত ডায়নামিক লিমিটেড’ (BDL)। যদিও এর ইলেকট্রো অপটিকস সিস্টেম বিদেশ থেকে রপ্তানি করা হয়েছে।খুব শীঘ্রই এটিকে দেশীয় সিস্টেম দিয়ে পরিবর্তন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এখন প্রায় সমস্ত মিসাইল ই ‘রেডিও প্রক্সিমিটি ফিউজ’ দ্বারা পরিচালিত,কিন্তু এটিকে আরো আধুনিক ‘লেজার রক্সিমিটি ফিউজ’ দ্বারা পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই মিসাইলের ওপর ভিক্তি করে DRDO নতুন শর্ট রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল(SAM) তৈরী করছে। যা যুদ্ধ জাহাজ থেকে লঞ্চ করা যাবে।