ডিফেন্স

“ভারতবর্ষ এক ইঞ্চি জমি এবার ছেড়ে কথা বলবে না”। চীনের বিরুদ্ধে যে বিধ্বংসী হেলিকপ্টার কাজে লাগাতে পারে বায়ুসেনা

নিউজ ডেস্কঃ লাদাখে চীন-ভারত উত্তেজনা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কেউ কাউকে যে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে কথা বলবে না তা ও স্পষ্ট। তবে ভারতবর্ষ যে এক ইঞ্চি জমি এবার ছেড়ে এবার আর কোনওসময় কথা বলবে না তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে চীনকে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী,বায়ুসেনার অ্যাপাচির পাশাপাশি নিজেদের অ্যাটাক হেলিকপ্টার রুদ্র কেও লাদাখে মোতায়েন করেছে। ‘ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল ছাড়া,এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ছাড়া এটি যুদ্ধের ময়দানে কি করবে? ‘

অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার এর বিভিন্ন রোল আছে। যুদ্ধের ময়দানে তাদের সেই রোলে কাজ করতে হয়। রুদ্র তে বর্তমানে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল নেই। তার মানে এই নয় যে এটি যুদ্ধের ময়দানে শক্তি প্রদর্শন করতে পারবে না।

রুদ্র কে হাইব্রীড অ্যাটাক হেলিকপ্টার বলা যেতে পারে যেটি অ্যাটাকিং এর পাশাপাশি ট্রুপস ও বহন করতে পারে। একটি রুদ্র বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, বারো জন ফুল লোডেড ট্রুপস কে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে যায়। এর কাজ কি?

মিশন অনুসারে,লাদাখে অ্যান্টি আর্মর রোল যদি পালন করতেই হয়,তবে তা অ্যাপাচি করবে। রুদ্রর অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল থাকত‍‌ও, তবুও সেগুলি লাদাখে ব্যবহার হত না বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। কারন লাদাখের মতো জায়গায় শত্রুর ট্যাঙ্ক ধংসের চাইতে, নিজেদের ট্রুপসদের কাছাকাছি সাপোর্ট দেওয়া বেশি দরকার। কাছাকাছি সাপোর্ট দেওয়ার জন্য রুদ্র চারটি লঞ্চার এ মোট ৪৮ টি রকেট বহন করতে পারবে। যেগুলি শত্রুর পদাতিক সেনাবহরের ওপরে আক্রমণের কাজে লাগে। তাছাড়া রুদ্রতে একটি ২০ মি.মি এর ক্যানন ও রয়েছে। ক্লোজ সাপোর্ট অপারেশন এ এই দুটি অস্ত্রের ই প্রয়োজন হয়।

আরো সহজে বললে এভাবে বলা যায় — লাদাখের পাহাড়ের এটা তুলনামূলক সুবিধাজনক জায়গা থেকে চীনা সেনারা মেশিন গান থেকে গুলি চালিয়ে ভারতীয় ট্রুপস দের সেই স্থানে যেতে বাধা দিচ্ছে। তখন রুদ্র রকেট হামলা করে ‘এরিয়া ডেসট্রয়ার’ রোলে কাজ করবে। সেখানে একসাথে অনেক চীনা সেনা মারা যাবে (এখানে অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইলের কি কাজ?) তার পর ভারতীয় ট্রুপস রা সেই জায়গা দখল নিতে পারবে,প্রয়োজনে রুদ্র তে থাকা বারো জন আর্মড ট্রুপসকেও ঐ স্থানে নামিয়ে দেওয়া সম্ভব।

রুদ্র একা থাকছে না,তার সাথে অ্যাপাচি ও থাকছে। আর অ্যাপাচি সব ধরনের অ্যাটাকিং রোলে কাজ করতে সক্ষম। অ্যাপাচি সর্বাত্মকভাবে অ্যাটাক হেলিকপ্টার আর রুদ্র ক্লোজ কমবেট সাপোর্ট দেওয়ার পাশাপাশি, সৈন্য বহন করে। যুদ্ধের ময়দানে (বিশেষ করে পাকিস্তান সীমান্তে) ফ্রন্ট লাইনে অ্যাপাচি/LCH থাকবে পিছন রুদ্র। আর এই হেলিকপ্টার বহরের নীচে মাটিতে থাকবে T-90 T-72 অর্জুন মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্কের বহর। তাদের পিছনে থাকবে আর্মড ট্রুপস সহ ইনফেন্ট্রি কমবেট ভেহিকেল এবং সেল্ফ প্রোপেল্ড হুইটজার। আর তারো পিছনে সেনাবাহিনীর অন্যান্য ভেহিকেল (সেখানে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট ও ট্রুপস থাকবে)। আকাশে থাকবে ট্রুপস বহন কারী হেলিকপ্টার। এদের সাথে থাকবে টোয়েড আর্টিলারি গ্রুপ,যারা সেফ ডিসটেন্স থেকে ফায়ারিং করতে করতে ধীরে ধীরে এগোবে (প্রয়োজন অনুসারে)।আর আকাশে অবশ্যই বিমান বাহিনীর ফাইটারের অ্যাক্টিভিটি থাকবে। আর এভাবেই সবার সব কিছুর একত্রিত সুসংগঠিত প্রয়াসে শত্রুর দেশের ভূমি দখল করা হয়। তাই রুদ্র হেলিকে খারাপ বলা যায় কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *