মাত্র ২ টি বিমান ধ্বংস করে প্রতিপক্ষের ৫৫০ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দিয়েছিল ইসরায়েল। কতসালে এমন হয়েছিল জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের একটি বড় সমস্যা হল এই যে বিদেশী ইন্ধন। অর্থাৎ বিদেশী পুজি বিনিয়োগ করা হয় দেশের যুবকদের বেপথে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আর সেই কারনে অনেক সময় দেশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। শুধু তাই নয় প্রচুর গণমাধ্যমের ফলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ভারতবর্ষ।
অনেক বিদেশী বিশেষজ্ঞ মনে করেন ভারত কেন ডাসল্ট রাফায়েল ক্রয় করল? ,এটা বড় ভুল সিদ্ধান্ত, কারন রাশিয়ান আমেরিকান ফাইটার অনেক ভাল অপশন ছিল। এমনকি চীনারা তাদের J 20 নাকি পঞ্চম প্রজন্ম বলে দাবী করে, রাফায়েল নাকি চীনের J 20 কাছে নাকি দাঁড়াতে পারবে না!
ডাসল্ট এভিয়েশন এর মিরাজ 3 বিমান 60 এর দশকে অন্যতম সেরা বিমান ছিল , এই তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ওই দশকে বেশ নাম ডাক করেছিল আর ওই খ্যাতি বর্তমানের ডাসল্ট এভিয়েশন বাড়বাড়ন্ত জন্য অনেকাংশে দায়ী।
কিন্তু ডাসল্ট এর এই খ্যাতির পিছনে আছে একটি দেশের কুশলী পাইলট রা যা ওই মিরাজ 3 বিমান কে ওই যুগে সাক্ষাৎ যম দূত করে তুলেছিল বিপক্ষের কাছে। মিরাজ 3 এর এই খ্যাতি ও তাদের পরবর্তী মিরাজ সিরিজ বিমান গুলির ব্যাবসায়িক লক্ষ পূরণে সহায়ক হয়েছে।
ইসরাইল ছিল প্রথম দেশ যারা এই মিরাজ ৩ বিমানগুলো ব্যাপক আকারে ক্রয় করে। মোট 72 টি যুদ্ধবিমান ক্রয় করেছিল তারা। ওগুলি ছিল মিরাজ 3 CJ বা অনেকে 3CJ বলেন। ইসরায়েলই রা এই 1 বিমানগুলো নাম দিয়েছিল sahak।
১৯৬৭ সালের আরব ইসরাইলি ৬ দিনের যুদ্ধে এই মিরাজ গুলো সংখ্যায় অনেক বেশি আরব বাহিনীর মিগ 19 ফ্রেমার ও মিগ 21 ফিসবেড কে ঘোল খাইয়ে দেয়। অপারেশন ফোকাস বা অনেকে অপারেশন সিনাই স্ট্রাইক বলেন। ইসরায়েল রা জর্ডন সিরিয়া ও ইজিপ্ট এর মিলিত বাহিনী কে শুইয়ে দেয় বিপক্ষের মোট 452 টি বিমান উবে যায়। বেশিরভাগ জমি থেকে উড়তে পারেনি আর শেষদিনের যুদ্ধে সিরিয়া হারায় 100 টি যুদ্ধবিমান মাত্র তিন ঘন্টায়। ইসরায়েল মোট ২ টি যুদ্ধবিমান।
এই যুদ্ধের পর পশ্চিমে ফরাসি ডাসল্ট ও মিরাজ এর নাম ডাক বহুল পরিমানে বেড়ে যায় ও অনেক ইউরোপের দেশ ও মিরাজ ৩ ক্রয় করতে থাকে।