৮৮০০ কিমি/ঘণ্টা। ভবিষ্যতে ব্রহ্মসের রেঞ্জ হবে। কোন কোন দেশকে বিক্রি করা হতে পারে
নিউজ ডেস্কঃ ভারতবর্ষের হাতে ব্রহ্মস আসার পর ভারতের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে চীনের সাথে সংঘাতের পর একের পর এক নতুন মিসাইল আসছে সেনাবাহিনীর হাতে। অপরদিকে শত্রুপক্ষের ঘুম ওড়াতে নতুন ভার্সন টেস্ট করছে এই বিধ্বংসী মিসাইল। ব্রহ্মসকে আরও বিধ্বংসী করে তোলা হল।
হুমকি যত বৃদ্ধি পাচ্ছে তাকে চ্যলেঞ্জ জানিয়ে বাড়ছে ভারতবর্ষের সক্ষমতাও। তৈরি হতে চলেছে ১,৫০০কিমি পাল্লার ব্রাহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। ভারতবর্ষের যাতে থাকা ব্রহ্মস যে অত্যাধুনিক ভয়ংকর ক্রুজ মিসাইল তা ইতিমধ্যে প্রমানিত। এ্যকুয়েরেসি, স্পিড ও ম্যনুয়েভার করার দক্ষতার দিক থেকে পৃথিবীর যেকোনো মিসাইলকে টেক্কা দিতে পারবে এই ব্রহ্মস।বর্তমানে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী ক্রুজ মিসাইল তথা এ্যন্টি শিপ মিসাইল এই মিসাইল। ব্রাহ্মোসের ক্ষমতা ইতিমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আরও বৃদ্ধি করার জন্য বেশ কয়েকটি প্যরামিটারে কাজ চলছে।
বিভিন্ন ভার্সনের ব্রহ্মস তৈরির কাজ চলছে। ব্রাহ্মোস-এনজি বা মিনি তৈরি হয়েছে যার গতীবেগ হবে ম্যাক ৪, অর্থাৎ প্রায় ৪৫০০কিমি/ঘণ্টা। পাশাপাশি ব্রাহ্মোস এর হাইপারসনিক ভার্শনের কাজ ও চলছে, যার গতী হবে ম্যাক ৭.৫+! অর্থাৎ গতীর সঙ্গে এর রেঞ্জ ও বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমানে ব্রাহ্মোসের রেঞ্জ ৪৫০কিমি। তবে এটির রেঞ্জকে প্রথমে ৬০০ ও তারপর ৮০০-১০০০কিমি তে নিয়ে যাওয়া হবে।
এ্যন্টিশপ ভ্যরিয়েন্টের জন্য ৬০০কিমি এবং ল্যন্ড এ্যটাক ভ্যরিয়েন্টে ১০০০ কিমির ব্রাহ্মোস ব্যবহার করা হতে পারে। তবে ভারতীয় ব্রাহ্মোসের সক্ষমতা এবার তার দেড় গুন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
খুব তাড়াতাড়ি ভারত ব্রাহ্মোসের রেঞ্জ ১,৫০০কিমিতে নিয়ে যেতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। আর তা সফল হলে পুরো তিব্বত ভারতের ব্রাহ্মোসের রেঞ্জের মধ্যে চলে আসবে। প্রতিটি চীনা সামরিক ঘাটি যা তিব্বতকে পরাধীন করে রেখেছে তা ব্রাহ্মোসের রেঞ্জের মধ্যে থাকবে।
ইতিমধ্যে ব্রাহ্মোসের প্রায় ৯০টি পরীক্ষা হয়েছে ( আনুমানিক ভাবে )। সফলতার হার প্রায় ১০০ শতাংশ। হার এ্যকুয়েরেসি সিঙ্গিল ডিজিট। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রাহ্মসকে ভারত বিরাটভাবে ব্যহার করতে চলছে, অর্থাৎ কার্গিলে যুদ্ধের বোফোর্সকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল ঠিক সেভাবে ব্রহ্মসকে ব্যবহার করার চিন্তা করা হচ্ছে।
তবে ব্রাহ্মোসের রেঞ্জ বৃদ্ধির বড় কারন হতে পারে নির্ভয়ের বিফলতা। বেশ কয়েকবার নির্ভয় টেস্টে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। তাই ব্রাহ্মসকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে সেনা বাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌ বাহিনী। ব্রাহ্মোসের প্রথম রপ্তানি চুক্তি ২০২১ এর শুরু তেই হবে ফিলিপিন্সের সাথে, যেই সময় মোদী-দুতারতে এর বৈঠক হবে।
ফিলিপিন্স ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যন্ড ও ভিয়েতনামের সাথেও এইবিষয়ে কথা হয়েছে ভারতের ইতিমধ্যে। তবে রপ্তানির যে ভার্শনটি আলাদা হবে দেশীয় ভার্শনের তুলনায়। যেমন সিকার ও ডাটা লিংক ভারতের বেশি উন্নত থাকবে। ভারত ব্রাহ্মোস বিক্রি করার ফলে নিজের বিরাট ব্রাহ্মোস ফ্লিটকে চ্যলেঞ্জের মুখে কোনমতেই ফেলবে না বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের।