সাপের নামে যুদ্ধবিমান। পঞ্চম নয় কেন ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান আনার পথে আমেরিকা?
নিউজ ডেস্কঃ এফ ১৬। এমন এক যুদ্ধবিমান যা সারা পৃথিবীর ঘুম কেড়ে নিয়েছিল একটা সময়। বিশেষ করে ৭০ এবং ৮০ র দশকে মানুষের মনে আতঙ্ক ধরিয়েছিল এই যুদ্ধবিমান। প্রায় ৫ দশক ধরে বিভিন্ন ভার্সনের এই যুদ্ধবিমান সার্ভিস দিয়ে আসছে আমেরিকার বায়ুসেনাতে। শুধু আমেরিকা নয় পাশাপাশি একাধিক দেশের বিমান বাহিনীতে এই যুদ্ধবিমান দেখা যায়। এই যুদ্ধবিমানকে আরও ৩ দশক সার্ভিসে রাখার প্ল্যান করেছে আমেরিকা। আমেরিকা তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি এই বিমান রাখছে তার প্রধান কারন হল এই যে খরচের কথা মাথায় রেখে।
আমেরিকা তাদের F-16 কে পরিবর্তন করবে নতুন এক ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান দিয়ে। ইতিমধ্যেই অল্টারনেটিভ অ্যাভিয়েশন ম্যাগাজিন Hush-Kit বিশেষজ্ঞদের দিয়ে F-16 এর পরিবর্তন হিসাবে একটি যুদ্ধবিমানের ডিজাইন করা হয়েছে। F-36 Kingsnake এর নামকরন করা হয়ছে। এর ডিজাইন তৈরিতে সাহায্য করেছে স্টিফেন ম্যাকপারলিন এবং জেমস স্মিথ। এই দুজনই আমেরিকার স্টেলথ ক্ষমতা সম্পন্ন F-35, ইউরোপের ইউরো ফাইটার টাইফুন এর মতো যুদ্ধবিমানের প্রোজেক্টে ছিল।
মার্কিন বায়ুসেনার চীফ অফ স্টাফ জেনারেল সি.কিউ.ব্রাউনের স্পেশিফিকেশন অনুযায়ী এই F-36 ডিজাইন করা হয়েছে৷ এই যুদ্ধবিমানটিতে আমেরিকার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান F-22 রেপ্টরের F-119 আফটার বার্নিং টার্বোফ্যান ইন্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এবং সবথেক বড় ব্যাপার হল এই যে এর সর্বচ্চ গতি ম্যাক ২ বা ২৩০০ কিমি/ঘণ্টা।
এই যুদ্ধবিমানটিতে F-16 ব্লক ৭০ এর AN/APG-83 AESA রেডার ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন এই যুদ্ধবিমান F-36 এর নাম ” KingSnake” রাখার প্রধান কারন হল উত্তর আমেরিকায় এই সাপ পাওয়া যায় যার জীবনকাল ৩০ বছর যা এই যুদ্ধবিমানের লাইফটাইমের সমান। আমেরিকা যদিও ২০২৩ এর মধ্যেই নতুন ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সার্ভিসে নিয়ে আসবে।