তালিবান জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য দিত আমেরিকা?
নিউজ ডেস্কঃ আফগানিস্তানে সোভিয়েত অনুপ্রবেশ শুরু হয় ১৯৭০ র শেষের দিকে। এবং তা আমেরিকার স্বার্থে আঘাত করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কারনে। ঐ সময়ে আফগানিস্তানে “পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ আফগানিস্তান” (PDPA) এর বামপন্থী শাষন ছিল। কিন্তু আফগানিস্তানে আরব দেশ গুলির আর্থিক মদতে ক্রমবর্ধমান ইসলামিক কট্টরতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দল নিজেদের জন্য ক্ষমতার দখলে নেমে পরেছিল।
ক্রমবর্ধমান বিদ্রোহী হামলায় আফগান বামপন্থী সরকার যখন নড়বড়ে হয়ে ওঠে, তখন সোভিয়েত রাশিয়ান আর্মি আফগানিস্তানে প্রবেশ করে কমিউনিজম কে বাঁচাতে। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ দশ বছর সোভিয়েত রাশিয়া আফগানিস্তানে যুদ্ধ করে। ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগে কোন ক্ষেত্রেই আমেরিকা বা সোভিয়েত রাশিয়া কেউ কাওকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাজি ছিল না। আর সোভিয়েত রাশিয়ার ভাঙনের সাথে সাথে দূর্বল অর্থনীতির রাশিয়ার সেই সক্ষমতা ছিল না যে তারা বিদেশের মাটিতে বসে যুদ্ধ করবে।তাই তারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায় ।
আফগানিস্তানে সোভিয়েত অনুপ্রবেশের সাথে সাথে আফগানিস্তানের কট্টর ইসলামিক বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দল গুলির সাথে পাকিস্তান আর্মি জোট বাধে। তৈরী করা হয় আফগান মুজাহিদীন। যারা পরবর্তীতে তালিবান এবং বর্তমানে জঙ্গি হিসাবে পরিচিত। এই তালিবানদের তৈরী করেছিল পাকিস্তানের হাতে কিন্তু আর্থিক মদত ছিল আমেরিকার। যারা পরবর্তীতে আমেরিকাকেই ছোবল মারে। ভিয়েত বিরোধী মুজাহিদ দল গুলির নেতৃত্বে ছিল পাকিস্তান, আর এই পাকিস্তানকে সার্বিক ভাবে সহায়তা দিত আমেরিকা। মোট কথা আড়াল থেকে আসল ছায়া যুদ্ধটা আমেরিকাই চালাত।