ডিফেন্স

চীন, পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন সাপলাই করতে চলেছে রাশিয়া

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের সেনাবাহিনীর হাতে যা ডিফেন্সিভ ইক্যুইপমেন্ট আছে তার ৫০ শতাংশের উপর রাশিয়ার থেকে নেওয়া। ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র আসতে চলেছে। তবে এবার পাকিস্তানের জন্য যুদ্ধবিমানের ইঞ্জির তৈরি করা শুরু হল তারা। ইতিমধ্যে তারা এটি জানিয়েছে।

রাশিয়া ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছে যে তারা নতুন একটি জেট ইঞ্জিন পরীক্ষা করা শুরু করেছে। রাশিয়ার ইউনাইটেড ইঞ্জিন কর্পোরেশান (UEC) নামক সংস্থাটি রাশিয়ান মিলিটারি, সিভিল ও স্পেশ সেক্টরের ইঞ্জিন তৈরি করে এবং বিদেশে বিক্রিও করে। এই নতুন ইঞ্জিনটির নাম RD-93MA যা UEC এর সেন্ট পিটার্সবার্গ এর কিলিমোভ প্ল্যন্ট এ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এই ইঞ্জিনটিকে মস্কোর সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যভিয়েশন মোটর্স (CIAM) এ থার্মাল প্রেসার চেম্বারে টেস্টিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে।

একাধিক বিশেষজ্ঞদের মতে পাকিস্তানের আপকামিং JF-17Block 3 এর জন্য এই ইঞ্জিন তৈরি করেছে রাশিয়া। এই ইঞ্জিনটি ৯১ KN থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে পারে। তবে রাশিয়া কেন পাকিস্তান কে ইঞ্জিন দিচ্ছে এটা নিয়ে চমকে যাবার কিছু নেই। কারন তার পেছনে বেশ কিছু কারন আছে। এই RD-93MA তৈরি হয়েছে RD-93 এল এর উপর নির্ভর করে।এই RD-93 পাকিস্তানের JF-17Block1 ও 2 তে বহুদিন ধরেই ব্যবহার হচ্ছে, এটি ৮৩ KN থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে পারে। তবে ভারতীয় তেজস আপকামিং আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রিক এর F-414 ইঞ্জিন ব্যবহার করবে। এই ইঞ্জিন গুলির তুলনায় অনেক ভালো এই আমেরিকান ইঞ্জিন গুলি।  F-414 ৯৮ KN থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে পারে।

তবে পাকিস্তানের জন্য তৈরি করা এই RD-93 এর সাথে ভারতের যুদ্ধবিমানের যোগাযোগ আছে, এই RD-93 তৈরি হয়েছে RD-33 ইঞ্জিনের উপর নির্ভর করে। এই RD-33 ইঞ্জিন ভারতীয় Mig-29UPG ও Mig-29K তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাকিস্তান এবং চীনের যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন প্রধানত রাশিয়াই সাপ্লাই করে। এই ক্ষেত্রেই রাশিয়ার থেকে যুদ্ধাস্ত্র কেনার খারাপ দিক, যারা অর্থ পেলে শত্রুদেশের হাতে অস্ত্র দিয়ে থাকে অনেকসময়। কিন্তু আমেরিকা সেই দিক থেকে বেশ আলাদা। তারা শুধু মাত্র বন্ধু রাষ্ট্র গুলো ছাড়া কাউকে কিছু দেয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *