ডিফেন্স

ভারতবর্ষকে চাপে রাখতে অত্যাধুনিক ড্রোন ক্রয় করছে পাকিস্তান

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের বিরুদ্ধে লড়তে একাধিক সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। আর  সেই কারনে তারা যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ড্রোনের মতো একাধিক যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করে থাকে। বিশেষ করে আজকাল ইলেকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ারের জন্য তৈরি হচ্ছে পৃথিবীর বহু দেশ। আর সেই কারনে ড্রোন ক্রয়ের কথা চিন্তা করছে পাকিস্তান।  আর এই ড্রোন ক্রয় করার জন্য তারা ইতিমধ্যে তুরস্কের থেকে টিবি ২ বায়রাক্তার ড্রোন ক্রয় করতে পারে। কারন আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আজারবাইজানকে লড়তে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল এই ড্রোন। তবে ভারতের বিরুদ্ধে লড়তে এই ড্রোন ক্রয় করা কি কোন দরকার ছিল?

আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আজারবাইজানের জয়ের এক প্রধান কারন ছিল আর্মেনিয়ার অদক্ষ সেনা পাশাপাশি আর্মেনিয়ার এয়ারফোর্স, এবং  ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারে অদক্ষ সেনা।

ড্রোনের একটি বিশেষ ক্ষমতা আছে যাকে বলা হয়ে থাকে RTB অথবা “রিটার্ন টু বেস”। তুরস্কের এই ড্রোন অয়ারফেয়ারের বিরুদ্ধে লড়তে সেভাবে সক্ষম নয়। কারন কোনো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাথে যুক্ত নয় এই বিশেষ ড্রোন গুলি। পাশাপাশি এই ড্রোন গুলি স্বনিয়ন্ত্রিত নয়। তুরস্কের এই ড্রোন গুলি রিমোটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। বহু দূরে বসে কন্ট্রোল রূম থেকে অপরেটর বা চালক এর সাথে ডাটা লিংক প্রতিস্থাপন করে এই গুলি চালনা করা হয়ে থাকে। ঠিক সেইরকমভাবেই রিপার এবং প্রেডেটর ড্রোন গুলি যুক্ত থাকে।

আর এই খানেই ভুল পাকিস্তানের। তারা তুরস্কের কাছ থেকে ড্রোন ক্রয় করছে তা ভালো, তবে আদৌ কি এই ড্রোন গুলি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে? বা কতোটা সক্ষম হবে এগুলি ভারতের বিরুদ্ধে লড়তে? তা হয়ত তারা সেভাবে ভাবেই নি। তুরস্কের এই ড্রোন গুলির ডাটা লিংককে খুব সহজেই ইলেকট্রনিক ইন্টেলিজেন্সের সাথে শনাক্ত করে ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ার দিয়ে জ্যাম করা সম্ভব। তবে জ্যাম করলে কি হবে?

আমেরিকান বা ইসরায়েলের ড্রোন গুলিতে এই সময় RTB শুরু হয়, অর্থাৎ রিটার্ন টু বেস(নিজের বেসে ফিরে আসা)। ড্রোনের মেমোরি সেইভাবে তৈরি করা হয়, মেমোরিতে টেক অফ লোকেশান ইনস্টল করা থাকে। ড্রোনের ডাটা লিংক জ্যাম হওয়ার পর তা সোজা সেই অঞ্চলে ল্যন্ড করে যেখান থেকে ড্রোনটি এসেছিল। আর ঠিক এইভাবেই ড্রোন গুলি নিজেকে শত্রুর হাতে যাওয়ার থেকে নিজেকে বাচায়। পাশাপাশি জিপিএস জ্যাম করলে (ইনিশিয়াল নেভিগেশান সিস্টেম) বা আইএনএস এর ওপর ভিত্তি করে এটি আবার ফিরে আসে।

আর এইখানেই সমস্যা তুরস্কের এই ড্রোন গুলির। কারন এই ড্রোন গুলিতে RTB নেই। অর্থাৎ শুধু এর ডাটা লিংক জ্যাম করলেই এটি সুতো কাটা ঘুড়ির মত কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে উড়বে, আর তারপরেই নীচে পরে যাবে।

ভারতবর্ষের ব্যপক সংখ্যার যুদ্ধবিমান এবং ও হেলি ফ্লিটের সাথে সংযুক্ত ও হিমশক্তির মত গ্রাউন্ড বেসড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার বা এ্যওয়াক্সেন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ভারতকে বিরাট সুবিধা করে দিতে পারে এই লিংক জ্যাম করার ক্ষেত্রে।

তবে সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত খুব বড় পদক্ষেপ নিয়েছে স্ব-নিয়ন্ত্রিত সোয়ার্ম ড্রোনে গুরূত্ব দিয়ে। এককথায় লেজার অস্ত্র ছাড়া স্ব-নিয়ন্ত্রিত সোয়ার্ম ড্রোন আটকানো অসম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *