প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
নিউজ ডেস্কঃ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরে একসভায় তিনি বলেছিলেন যে “শয়তানদের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না।”
এই কথা বলার কারনে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি। বিশেষত সংখ্যা লঘু ভোটকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমর বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনে নালিশ করার পর ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিতে হবে।
গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বর জনসভা থেকেই এমন ভাষায় বিজেপিকে আক্রমন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যে “বাংলাকে বিজেপি ধর্মের নামে ভাগ করে দিতে চাইছে। বাংলার সংস্কৃতি নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” এই কথা বলার পরই কেন্দ্রীয় নেতা মুখতার আব্বাস নাখভি নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছিলেন। আর তারপরই তৃণমূল নেত্রির কাছে চিঠি আসে। এবং এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে তার কাছ থেকে।
তৃণমূল সুপ্রিমোর এই মন্তব্য নিয়ে খোদ প্রতিক্রিয়া দেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন যে “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসমক্ষে সব মুসলমানকে এক হতে আহ্বান করেছেন।তিনি বলেন যে সব মুসলমান এক হও, ভোট ভাগ হতে দিও না।” নরেন্দ্র মোদী বলেছেন যে “মমতা দিদি যেমন বলছেন, তেমন যদি আমি বলতাম যে, সব হিন্দু এক হয়ে বিজেপিকে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচন কমিশন আমাকে ৭-৮ দিনের জন্য নোটিস দিয়ে দিত। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও নোটিশ আসে। জানি না, কমিশন আপনাকে নোটিস দেবে কিনা।” নরেন্দ্র মোদীর এই কথার পরই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল নেত্রিকে নোটিস দিল নির্বাচন কমিশন।