আমেরিকার এই চিন্তা বা ভাবনা যে আর ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে খাটবে না তা ইতিমধ্যে বুঝে গেছে বাইডেন প্রশাসন
নিউজ ডেস্কঃ আমেরিকার সাথে ভারতবর্ষের সম্পর্ক যে সম্প্রতি ভালো হয়েছে বেশ তা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে বেশ কিছু বছর আগে ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক সেভাবে ভালো ছিলনা। আর সেই কারনে তাদের থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করতে পারত না সেনাবাহিনী। আর সেই কারনে কিছুটা বাধ্য হয়েই হয়তো রাশিয়ার থেকে ক্রয় করতে হত প্রচুর যুদ্ধাস্ত্র। তবে বর্তমানে ভারতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ভালো হওয়ার কারনে তারা একাদিক অত্যাধুনিক টেকনোলোজি ভারতকে দিতে প্রস্তুত।
কিছুদিন আগে পেন্টাগন তাদের ৮১ পাতার একটি রিপোর্টে জানিয়েছে যে (“মিসাইল ডিফেন্স রিভিউ”)এর আগের ট্রাম্প প্রশাসন ভারত কে ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্রাটেজির প্রধান অংশ হিসাবে দেখেছে। আমেরিকা ভারতের সাথে মিসাইল ডিফেন্সে কাজ করতে চায় যা উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করে তুলবে বলে ভাবা হচ্ছে। এই রিপোর্টে রাশিয়া এবং চীনের মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট কে আমেরিকার জন্য হুমকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তবে এই রিপোর্টে এটাও স্বীকার করা হয়েছে যে পূর্বে আমেরিকা ভারতকে তাদের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিতে অস্বীকার করেছিল। পাশাপাশি রিপোর্টে এটিও বলা হয়েছিল যে কিছু বছর পূর্বে ভারত আমেরিকা থেকে “Thaad” ক্রয় করতে চায়, তবে তৎকালীন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা ভারতকে তাদের অত্যাধুনিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম দিতে চায় নি, আর সেই কারনে নিউদিল্লী বাধ্য হয়ে রাশিয়ার সাথে S-400 চুক্তি করে।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন বুঝতে পারে ইন্দোপ্যাসিফিক এলাকায় চীনের বিরুদ্ধে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি ভারত তাদের সবচেয়ে বড় পার্টনার। আর সেই কারনে ২০১৭-১৮ থেকে আমেরিকা ভারতের সাথে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমে কাজ করতে আগ্রহী হয়।
অর্থাৎ যখন দরকার ছিল ভারতবর্ষের, তখন তারা তাদের অত্যাধুনিক ডিফেন্স সিস্টেম দেয়নি, রাশিয়ার সাথে চুক্তি হওয়ার পর এখন তারা চাইছে তারা তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিতে, নইলে তারা তাদের নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলছে। অর্থাৎ আমেরিকা যখন যেটা চাইবে তখন সেটা করবে, তবে আমেরিকার এই চিন্তা বা ভাবনা যে আর ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে খাটবে না তা ইতিমধ্যে বুঝে গেছে বাইডেন প্রশাসন।