ডিফেন্স

পঞ্চম নয়। কেন অত্যাধুনিক চতুর্থ প্রজন্মের ১০০০ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের কথা ভাবছে আমেরিকা?

নিউজ ডেস্কঃ পৃথিবীর সামরিক পরিস্থিতি দ্রুততার সাথে বদলাচ্ছে। টক্কর দিতে ছারছেনা কেউ কাউকেই। আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো দেশ বাকি দেশ গুলির থেকে এগিয়ে থাকলেও সামরিক অস্ত্র তৈরির দৌড়ে যেকোনো মুহূর্তে তারা পিছিয়ে পরতে পারে। বিশেষ করে ফ্রান্স থেকে শুরু করে চীন বা ভারতবর্ষের মতো দেশের কাছে ২০৩০ এর দিকে যে বিরাট উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র থাকবে তা বলাই বাহুল্য। তবে অনেকের মতে বর্তমানে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান না ক্রয় করে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ক্রয় করা এখনই কি ঠিক হবে?

আাগামী দিনে যদি দেখা যায়, তাহলে আগামি ৩০ বছর বিশ্বে ৪.৫ জেনারেশন যুদ্ধবিমানের যথেষ্ট গুরুত্ব থাকবে। কারন যদি প্রোডাকশান লাইনের দিকে তাকানো যায়, তাহলে দেখা যাবে যে ফ্রান্স তাদের রাফায়েল যুদ্ধবিমানকে ২০৬০ পর্যন্ত সার্ভিসে রাখার কথা চিন্তা করছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ আমেরিকা। এবং এই দেশ তাদের F-16 এর পরিবর্তন হিসাবে ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান চাইছে। আমেরিকার এয়ারফোর্স এর এক অফিসারের মতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান অত্যন্ত ব্যয়বহুল আর সেই কারনে F-35 ক্রয় করা সম্ভব নয়। প্রায় ২ দশক ধরে রিসার্চের পর এবং ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার খরচের পর F-35 সার্ভিসে এসেছিল। পাশাপাশি এখনও টেকনোলজি ইনস্টল করছে লকহিড মারটিন। আর সেই কারনে এর দাম প্রচুর। পাশাপাশি আরও একটি সমস্যা হল রক্ষণাবেক্ষণ। এর স্টেলথ ক্যারেক্টার, হইটেক সেন্সর এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর ব্যায়বহুল এবং একবার খারাপ হলে পুনরায় ঠিক বেশ ব্যায়সাপেক্ষ।

প্রথমে আমেরিকার তরফে ঠিক করা হয়েছিল যে F-16+ A-10 এর পুরো ফ্লিটকে পরিবর্তন করা হবে F-35 যুদ্ধবিমান দিয়ে। প্রায় ১৮০০ এর মতো যুদ্ধবিমান সেই কারনে অর্ডার করতে চেয়েছিল আমেরিকা, তবে বিশাল বাজেটের কারনে আমেরিকার পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।  বর্তমানে আমেরিকার বায়ুসেনাতে ২৫০ F-35 সার্ভিসে আছে। তবে তারা চাইছে আরো কয়েকশ F-35 ক্রয় করতে। বাকি ১০০০ টার মতন নতুন কোন ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে।

আমেরিকার বিশেষজ্ঞদের মতে “F-35 হচ্ছে ফেরারি, ফেরারি নিয়ে প্রতিদিন অফিস যাওয়া সম্ভব না, হয়ত ছুটির দিনে কোথাও ঘুরতে বেড়ানো যেতে পারে ফেরারি নিয়ে।” এই জন্য ভারতবর্ষের আমকার পাশাপাশি তেজস মার্ক ২ এবং TEDBF প্রজেক্ট সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের মত দেশের পক্ষে ২৫০-৩০০ এর পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সার্ভিসে রাখা ভীষণ ব্যায়বহুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *