ডিফেন্স

একসাথে ৪০ টি টার্গেট ধ্বংস করতে পারবে এই হেলিকপ্টার। সঙ্গে আবার জুড়ছে ব্রহ্মস মিসাইল। কিরকম ক্ষমতা আসতে চলেছে সেনাবাহিনীর হাতে?

নিউজ ডেস্কঃ ভারতের হাতে যে প্রচুর রাশিয়ান অস্ত্র রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। সাবমেরিন থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার। কামভ-৩১। ভারতের আই এন এস ভিক্রামাদিত্য তে ১০ টি হেলি রাখা থাকে।  এর প্রথম অপরেটর ভারতীয় নৌবাহিনী। গরীবের এ্যওয়াক্স হলেও ভায়তীয় নৌবাহিনীকে একটা খুব ভালো সুবিধার জায়গায় রাখে। প্রতিটি নৌবাহিনীর জাহাজের একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়,  যাকে বলা হয় ওভার দ্যা হরাইজন। অর্থাৎ পৃথীবী গোল হওয়ায় সর্ফেস শিপ ও লো ফ্লাই ক্রুজ মিসাইল বা ফাইটারকে শিপের রেডার ২০কিমির বেশি দূরে দেখতে পায় না।

ঠিক যে কারনে সমূদ্রের তীরে দাড়িয়ে আপনি আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়া জাহাজটিকে ধিরে ধিরে নিচে চলে যেতে দেখেন। ভারতীয় নৌবাহিনীর সুবিধা হল ভারতীয় নৌবাহিনী এই ধরনের কপ্টারকে অনেক উচু থেকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে। ফলে ভারতীয় নৌবাহিনীর এই কপ্টারের রেডার সিস্টেমের সাথে ডাটা লিংক করে এক দিকে নিজের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে অপরদিকে আগত শুত্রুপক্ষের হুমকিকে অনেক আগে থেকে শনাক্ত করতে পারে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে এরকম ১৪টি অ্যওয়াক্স রয়েছে। আরও ১০টি অর্ডার করা হবে। এই ২৪টি এ্যওয়াক্স ভারতীয় নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট ও এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ারে ডেপ্লয় করা থাকে। এই কপ্টারের নিচে রেডার এ্যন্টেনা রয়েছে। এটা E-801M Oko early warning radar সিস্টেম। মাত্র একটা অপরেটারের মাধ্যমে এটি চলে। মিনিটে ৬রাউন্ড ঘুরতে সক্ষম। ৩৬০ডিগ্রী কভারেজ দেয়। জাহাজের মত টার্গেটকে এটা ২০০কিমি দূর থেকে শনাক্ত  করতে পারে।  অর্থাৎ ভারতীয় জাহাজ থেকে ১৫০কিমি এগিয়ে থেকে এটি জাহাজের রেডারের সাথে কমিউনিকেট করতে পারবে পাশাপাশি জাহাজের সাথে ডাটা লিংক করে আরও ২০০ কিমি অর্থাৎ ১৫০+২০০=৩৫০কিমি কভারেজ দিতে পারবে যা এই কপ্টার ছাড়া ছিল মাত্র ২০০ কিমি।

আর একটু সহজ করে বলা হলে। শিপের রেডার রেঞ্জ এয়ার টার্গেটের ক্ষেত্রে ১৫০কিমি। কপ্টার ততটা উড়ে গেল। এর পর নিজের রেডার অন করলো। অর্থাৎ ১৫০কিমি দূর থেকে কপ্টারটি আরও ২০০কিমি দূরত্ব পর্যন্ত জাহাজকে কভারেজ দিতে পারলো। অর্থাৎ দুটো রেডার অর্থাৎ একটির পর আরেকটি ফরম্যটে কাজ করে রেডার রেঞ্জকে সার্ফেস টার্গেটের বিরুদ্ধে বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। ভারতী কামভ-৩১ এই কারনে একটা গুরূত্বপূর্ণ সম্পত্তি নৌবাহিনীর জন্য। এটা একবারে আড়াই ঘন্টা টানা সার্ভিস দিতে পারে। একবারে ৪০টি টার্গেটকে ট্রাক করতে পারে। ফাইটারের বিরুদ্ধের এর রেঞ্জ ১৫০কিমি আর স্টেল্থ ক্রুজ মিসাইলের বিরুদ্ধে ১০০কিমি। বলতে গেলে এই কপ্টার থাকলে ভারতের বিধ্বংসী ব্রাহ্মোস এবং বারাক-৮ কে অনেক বেশি এফেক্টিভলি ব্যবহার করতে পারা যাবে চীন ও পাক নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *