ডিফেন্স

৪০০ কিমির মধ্যে শত্রুর বিমানকে কয়েক মুহূর্তে ধ্বংস করতে পারে তেজাস। কি এমন আছে এই যুদ্ধবিমানে?

দেশীয় প্রযুক্তি তে প্রস্তুত তেজাস দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার পুরানো মিগ-২১ গুলো কে আসতে আসতে রিপ্লেস করবে। হ্যালের এই তেজাস যুদ্ধবিমানের প্রথম স্কোয়াড্রন এর নাম রাখা হয়েছে ফ্লাইং ড্যাগারস।

তেজাস যুদ্ধবিমানে পাইলট দের সুবিধার জন্য কুয়াড্ররুপ্লেস ডিজিটাল ফাই বাই ওয়ার ফাইটিং কন্টোল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে । এই যুদ্ধবিমান ছোট প্রকৃতির এর বডিতে কার্বন কম্পোজার ব্যবহারের ফলে একে শত্রুর রেডারে ডিটেক্ট করার সম্ভাবনা মিগ-২৯ বা এফ-১৬ থেকে অনেকটা কম।

তেজাস যুদ্ধবিমানে অত্যাধুনিক গ্লাস ককপিট ব্যবহার করা হয়েছে যা যুদ্ধের সময় পাইলট কে বিশদে তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম। ডিআরডিও বানানো উন্নত সফটওয়্যার এভিওনিক হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও প্রয়োজনে আপডেট করা যেতে পারে। হেলমেট মাউন্টেন ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এই যুদ্ধবিমানে যা ডগ ফাইটের সময় পাইলটদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে।

তেজাস অত্যন্ত আধুনিক এক যুদ্ধবিমান। ফলে মিগ ২১ এর জায়গায় তেজাস যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিতে চলেছে টা বলাই বাহুল্য। মিগ-২১ এর থেকে এর অনেক উন্নত ককপিট ও আধুনিক এভিওনিক সিস্টেম।  মিগ-২১ বাইসনের থেকে তেজাসের ওজন কম ফলে ম্যানওভারিটি বেশী কিন্তু শক্তিশালী বডির জন্য এটি মিগের তুলনায় বেশ কয়েকগুন এগিয়ে থাকবে

এই বিমান অল্প রেঞ্জের মধ্যে হামলা চালাতে বিশেষভাবে সক্ষম। পয়েন্ট ডিফেন্স এয়ার স্ট্রাইক হিসাবে ব্যবহার করা হবে। ৪০০ কিমির মধ্যে অপারেশান চালাতে বিশেষভাবে সক্ষম।

ভারতের প্রাত্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রথম ভারতের লাইট কম্ব্যাট এয়ারক্রাফট এর তেজসের নামকরণ করেছিলেন।

তেজসের আপগ্রেড ভার্সান ১এ তে অত্যাধুনিক এইএসএ রেডার, ইউনিফায়েড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেসার, মাঝ আকাশে রিফুয়েলিং, উন্নত বিভিআর ইত্যাদি অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত এই যুদ্ধবিমানের দাম ২৭৫কোটি টাকা থেকে ৩০০কোটি টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *