ডিফেন্স

২০২১ এ ইন্ডিয়ান নেভিতে যুক্ত হতে চলেছে বিধ্বংসী পরমাণু সাবমেরিন

নিউজ ডেস্কঃ ভারতীয় নৌসেনার হাতে যে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আসতে চলেছে তা অনেক আগেই বলা হয়েছে। বিশেষ করে কার্গিল যুদ্ধের পর একাধিক এরকম প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। আর ঠিক সেই মতো ভারতের হাতে আসতে চলেছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার ব্যালেস্টিক মিসাইল। মোট ৪ টি এই গোত্রের সাবমেরিন তৈরি হওয়ার কথা ছিল। এখনও পর্যন্ত একটি সমুদ্রে ট্রায়াল চলছে। বাকি তিনটি তৈরির কাজ চলছে। এই সাবমেরিন গুলিতে অত্যাধুনিক টেকনোলোজি থাকছে।

৯০,০০০ কোটি টাকার এই প্রজেক্টে একটি সাবমেরিনের মূল্য পড়েছে প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় নিউক্লিয়ার SSBN আইএনএস অরিঘাট।ইতিমধ্যে সমুদ্রে  ট্রায়ালে রয়েছে। ২০২১ এ ইন্ডিয়ান নেভিতে এটা যুক্ত হওয়ার কথা। ২০১৭ তে এটি প্রথম কমিশন হয় এবং ৩ বছরের সী ট্রায়ালের শেষে আগামী বছর এটি নেভিতে যুক্ত হবে।কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত এব্যপারে কোন তথ্য দেয নি, এমনকি অরিঘাটের ডিসপ্লেসমেন্ট নিয়েও ধোয়াশা তৈরী হয়েছে। কারন এটি একটি অজানা সাবমেরিন। এর ছবি সম্প্রতি স্যটেলাইট এর মাধ্যমে ডিটেক্ট করা হয়েছে যা আইএনএস আরিহান্ট এর থেকেও লম্বা ও বড়।

বিশেষজ্ঞদের মতে আইএনএস আরিঘাট হবে আরিহান্ট এর সিস্টার শিপ, সুতরাং এর ডিসপ্লেসমেন্ট প্রায় আরিহান্ট এর কাছাকাছি হওয়ার কথা। আরিহান্ত হল প্রথম সাবমেরিন যা ইউনাইটেড নেশান্সের অর্থাৎ সিকিউরিটি কাউন্সিলের ৫ টি দেশ ছাড়া একমাত্র ভারতের হাতে রয়েছে।

এটি জলে ভেসে ২৮কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে চলতে সক্ষম। পাশাপাশি ৪৪কিমি/ঘণ্টার গতিবেগে জলে নিমজ্জিত অবস্থায় চলতে সক্ষম। এছাড়াও এটি ৯৮০ ফুট গভীর পর্যন্ত সমুদ্রের গভীরে যেতে সক্ষম। দেশীয় প্রজুক্তিতেওে তৈরি সাবমেরিনটি ভিশাখাপত্তনামের নেভি শিপবিল্ডিং এ তৈরি করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *