কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থা শোচনীয় করেছিল বিধ্বংসী যুদ্ধবিমানটি। বর্তমানে বিশেষ কাজে ব্যবহার করছে বায়ুসেনা
নিউজ ডেস্কঃ মিগ ২৩। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে তৈরি হওয়া সর্বচ্চ যুদ্ধবিমান গুলির মধ্যে একটি। ভারতবর্ষকে কার্গিল যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে টেকনিক্যাল কারনে প্রচুর প্রমানে এই বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু এই বিমান পাকিস্তানের সেনাদের মনে যথেষ্ট ভয়ের সঞ্চার করেছিল। প্রায় ৫০৪৭ টি বিমান তৈরি করা হয়েছে। শুধু ভারত নয় প্রায় ৫০ টি দেশ ব্যবহার করেছে এই বিধ্বংসী যুদ্ধবিমানটি।
১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় তৈরি যুদ্ধবিমানটি। প্রথমবার আকাশে দেখা যায় ১৯৬৭ সালের জুন মাসের দিকে। সোভিয়েতের মিকোয়ান গুরেভিচ এর তৈরি যুদ্ধবিমানটি ১৯৭০ সালে প্রথম সার্ভিসে আসে।
১৯৬৭ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত এই বিমান তৈরি করা হয়েছিল। ভারত, রাশিয়া বা বুলগেরিয়া র বিমানবাহিনী এটিকে অবসর গ্রহন করালেও কঙ্গো, কাজাখাস্থান, সুদান, সিরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশ এই বিমান এখনও ব্যবহার করছে।
৫০০০ এর উপর তৈরি হওয়া এই বিমান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ছাড়াও সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ, সিরিয়ান সিভিল ওয়ার, ইরাক, কুয়েত এবং কিউবার যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রায় ৫ দশকের উপর সার্ভিস দিয়ে আসছে এই যুদ্ধবিমানটি। ভারতের কাছে ৪০ র উপর ছিল এই যুদ্ধবিমানটি। মিগ ২৩ বি এন কে ইন্ডিয়ান আর্মি ব্যবহার করত গ্রাউন্ড আট্যাক করার জন্য। বর্তমানে এই যুদ্ধবিমানটি ভারতীয় বিমানবাহিনীতে না দেখা গেলেও ১৪ টি মিগ ২৩ প্রশক্ষনের কাজে ব্যবহার করছে ভারতের বিমানবাহিনী ওয়ার্ল্ড এয়ারফোর্স ২০২০ র রেকর্ড অনুযায়ী।
প্রায় ৫৫ ফুট লম্বা এবং ১৬ ফুট উচ্চতা যুদ্ধবিমানটির। ডানা বা ইউং স্পান ৪৫ ফুট। খালি অবস্থায় এর ওজন ১৪৮৪০ কেজি এবং ওজন নিয়ে ১৭৮০০ কেজি, অর্থাৎ প্রায় ৩০০০ কেজির অস্ত্র নিয়ে উড্ডয়ন করতে সক্ষম যুদ্ধবিমানটি। সি লেভেলে এটি ১৪০০কিমি/ ঘণ্টা গতিবেগে উড়তে পারে। এবং ২৫০০কিমি/ঘণ্টা অর্থাৎ ম্যাক ২.৩৫ গতিবেগে উড়তে পারে। জ্বালানি নিয়ে ২৮২০ কিমি পর্যন্ত উড্ডয়ন করতে সক্ষম। যদিও সাথে তিনটি ড্রপ ট্যাঙ্ক থাকত। ৬০,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে এয়ার টু এয়ার, এয়ার টু গ্রাউন্ড বা ভুমিতে এবং বোম্বিং হামলা চালাতে সক্ষম যুদ্ধবিমানটি।