বিধ্বংসী এয়ার মিসাইল মোতায়েন বিপদজনক যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের হাতে যে একাধিক ইসরায়েলের অস্ত্র রয়েছে তা কমবেশি সকলেরই জানা। বিশেষ করে ইসরায়েলের থেকে নেওয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম থেকে শুরু করে এয়ার টু সার্ফেস মিসাইল বা রেডার সিস্টেম যে দুনিয়ার অন্যতম সেরা তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর সেই জিনিস গুলিই আসতে আসতে ভারতের যুদ্ধজাহাজ গুলিতে ইন্সটল করা শুরু হয়েছে।
SA-N-12 সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল। বর্তমানে ভারতীয় নৌবাহিনীর সব থেকে বড় সংখ্যায় এ্যক্টিভ আছে ফ্রন্টাল যুদ্ধজাহাজ গুলিতে। বারাক-৮ সব থেকে অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স হলেও ভারত এই স্যামকে এখনও দিল্লী ক্লাস ডেস্ট্রয়ার, তলোয়ার ক্লাস ফ্রিগেট এবং শিভালিক ক্লাস ফ্রিগেটে ব্যবহার করে। সেমি এ্যক্টিভ রেডার হোমিং প্রযুক্তির এই মিসাইলের রেঞ্জ ৫০+কিমি। এগুলি VLS এর মত কাজ করে না। একটি একটি করে ডেকে উঠে আসে। ডেকের ভিতরে ২৪টি মিসাইলের ম্যগাজিন থাকে। স্যম লঞ্চিং আর্মে এগুলি ফিট করে লঞ্চ করা হয়। ম্যাক ৪.৫ অর্থাৎ ৫০০০ কিমি/ঘণ্টা গতীতে হামলা করতে সক্ষম।
সেমি এ্যক্টিভ রেডার হোমিং এর দুটি বড় সুবিধা হল প্রথমত ডিকয় ব্যবহার করে একে হটাতে পারা যায়না। কারন রেডার সরাসরি গাইড করে ফলে হাই রেজোলিউশান ট্র্যকিং হয়। আর দ্বিতীয়ত মিসাইলের অবস্থান কোথায় তা রিসিভার জানাতে পারবেনা কারন রেডার থেকে উৎপন্ন হওয়ায় রেডিও ওয়েভ সরাসরি টার্গেটে প্রতিফলিত হয়ে মিসাইলের সিকারে যায়। মিসাইল নিজে কিছু এমিট করে না। আর ফাইটারের রেডার ওয়েভ রিসিভার শুধুমাত্র রেডিও ওয়েভ এমিট করা উৎসকেই খুজতে পারে। তাই এই ধরনের স্যাম খুবই বিপদজনক যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে।