রবীন্দ্র সরোবর এবার বন্ধ। মাস্কহীনদের ঘাটে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ছোট পূজা নিয়ে একাধিক বিধি নিষেধ
নিউজ ডেস্কঃ ছট পুজো নিয়ে একাধিক বিধি নিষেধ। করোনার কথা মাথায় রেখেই একাধিক সিদ্ধান্ত। তবে রবীন্দ্র সরোবরে এবার আর পূজা নয়, পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ছট পূজা নিয়ে শুনানির মামলা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার কারন বশত এই বছর আর রবীন্দ্র সরোবরে ছট পূজা করা যাবেনা। কারন ছট পূজা নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ব্রতপালনকারীদের কথা মাথায় রেখে সরোবরে পুজো করার অনুমতি চেয়ে শীর্ষ আদালতে আপিল করেছিল রাজ্য সরকার। তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি, কারন শুনানির ডেট ২৩ তারিখ, অপরদিকে ১৯ এবং ২০ তারিখ কলকাতায় ছট পূজা পালন।
সোমবার বিচারপতি নরিম্যানের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে এই আপিলের শুনানির কথা ছিল। কিন্তু নরিম্যান উপস্থিত না থাকার কারনে বাকি তিন বিচারপতির এজলাসে শুনানি হয়।
আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর, কলকাতায় ছট পূজার কথা মাথায় রেখে তাই এবছর আর রবীন্দ্র সরোবরে পুজো করা যাবে না। তবে কে এম ডি এ চেয়ারম্যান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “পুন্যার্থীদের ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে কেএমডিএ ও রাজ্য সরকার সরোবরের বিকল্প জলাশয়ে ৪৪টি ঘাট তৈরি করে পরিষেবা দেবে।”
ছটপুজো নিয়ে চলতি বছরে পরিবেশ আদালত এবং হাই কোর্ট, দুটি বিধিনিষেধ চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রথমত সরোবরে পুজো করা যাবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, পাশাপাশি ছটপুজোয় কোনও শোভাযাত্রা বা বাজি ফাটানো যাবে না এমনটাই রায় দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের পক্ষ থেকে ।
আর সেই কারনে কলকাতা পুলিশ কেএমডিএ এবং পুরসভা একাধিক বিধি নিষেধ জারি করেছে।
মাস্কহীনদের ঘাটে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য পুরসভা মাস্ক বিলি করবে। পাশাপাশি গঙ্গার ১৬টি ঘাটে যাতে পুন্যার্থীরা পুজো করতে পারে সেই কারনে সেইদিকে খেয়াল রাখার পাশাপাশি সবরকম সাহায্য করবে পুরসভা। শুধু তাই নয় বন্দরের ১০ নম্বর গেট খুলে দেওয়া হবে ব্রতপালনকারীদের জন্য।
তবে পরিবেশবিদদের একাংশের অভিযোগ, এই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পুলিশের উদাসীনতায় গতবছর ৩৫ হাজার পুন্যার্থী তালা ভেঙে জোর করে ঢুকে পুজো করেছিলেন রবীন্দ্র সরোবরে। চলতি বছরে একই ঘটনা ঘটলে কী করবে পুলিশ এবং পুরসভা? প্রশ্ন এক পরিবেশবিদের।