দিল্লি বিমান বন্দরে আটকে দেওয়া হল কাশ্মীরের বড় রাজনৈতিক নেতাকে
নিউজ ডেস্কঃ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ওঠানোর পর থেকে সেখানকার যুবকদের মূলস্রোতে ফেরানর চেষ্টা করা হচ্ছে, এবং যথেষ্ট সাফল্য ও মিলেছে। তবে কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট শক্ত অবস্থান নিতে হয়েছে কেন্দ্রকে।
৩৩ জন রাজনৈতিক নেতার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে, অর্থাৎ তাদের বিদেশ যাত্রা আপাতত বন্ধ।এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারন না জানা গেলেও অসমর্থিত সূত্রের খবর অনুযায়ী ওই নেতাদের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও কাশ্মীরে নাশকতা ছড়ানোর চেষ্টায় রত জেহাদিদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার স্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রের মতে ওই নেতাদের তালিকায় ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি ও জেকে পিপলস কনফারেন্সের আবদুল রহিম রাঠের,আলি মহম্মদ সাগর, সাজ্জাদ লোন, নইম আখতার, বিলাল লোন, ও আলতাফ আহমেদ ওয়ানির মতো বেশ কিছু নেতার নাম আছে। যদিও সেই তালিকায় নেই ন্যাশনাল কনফারেন্সের দুই নেতা ফারুক ও ওমর আবদুল্লা এবং পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতির নাম।
পহেলগাম বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা আলতাফ আহমেদ ওয়ানি বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে যাচ্ছিলেন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। দিল্লি বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় এই রাজনৈতিক নেতাকে। এবং তাকে বলা হয় ২০২১ এর মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি কোনোরকম বিদেশ সফর করতে পারবেন না।
কাশ্মীরের এই নেতা জানান যে , ‘দিল্লি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে কাউন্টারে যাওয়ার পর একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বসিয়ে রাখা হয়, এবং তাকে জানানো হয় যে তার বিদেশ যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারনে ২০২১ এর মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না”।
জম্মু এবং কাশ্মীর ৩৭০ ধারা ওঠানোর পর থেকে ৩৭ জন রাজনৈতিক নেতার বিদেশ যাত্রার উপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারপর সেখান থেকে চার জন নেতার নাম বাদ পরার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞার সময়সীমাও বাড়ানো হয়।